ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মোদী সরকারের স্কিৎজোফ্রেনিয়ার কারণে করোনা ভয়াবহ : অমর্ত্য সেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৭ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২১
মোদী সরকারের স্কিৎজোফ্রেনিয়ার কারণে করোনা ভয়াবহ : অমর্ত্য সেন

কলকাতা: ভারত করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নজর দেয়নি। তার বদলে বিশ্বের কাছে কৃতিত্ব নিতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

ভাবখানা এমন ছিল গোটা বিশ্ব তারাই করোনা থেকে রক্ষা করবেন। এই আচরণ স্কিৎজোফ্রেনিয়ার (মানসিক রোগ) সমতুল্য। শুক্রবার(৫ জুন) সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের রাষ্ট্রসেবা দল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে, মোদী সরকারের সমালোচনায় এমনই বলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

অর্থনীতিবিদ বলেছেন, সরকার মহামারি রোধ করার দিকে নজর দেওয়ার থেকে কৃতিত্ব নেওয়ার দিকেই বেশি ব্যস্ত ছিল। যা স্কিৎজোফ্রেনিয়া লক্ষণের সমতুল্য।

নোবেলজয়ীর মতে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার। যে কারণে দেশটিতে করোনা ভাইরাস এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যখন দরকার তখন সরকার ভয়ঙ্কর অতিমারি সমস্যার মোকাবিলা না করে শুধু নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করতে ব্যস্ত ছিলেন। তাই এই সমস্যা বেড়েছে।

তিনি বলেন, শুধু দেশের মধ্যে নিজেদের মহৎ ভাবা নয়, গোটা দুনিয়াকে রক্ষা করার কৃতিত্ব নেওয়া শুরু করেছিল এই সরকার। আর সেই সময়ের মধ্যেই ভারতে করোনা সমস্যা আরও বেড়েছে। শুধুমাত্র ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়। এই সময়ের মধ্যে দেশের অর্থনীতিও দুর্বল হয়েছে। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।

অমর্ত্য সেন বলেন, যে ভারত ইতিমধ্যে সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়েছে, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং বেকারত্ব রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। যা মহামারির সময়ে আরও ভোগাচ্ছে।

মূলত ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে একাধিক বিদেশি জার্নাল ও দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। একই ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় গবেষকরাও। বেশিরভাগ গবেষক মোদী সরকারের টিকানীতির সমালোচনা করেছেন। সেই প্রথায় একই মত ব্যক্ত করলেন মোদী সরকারের সবচেয়ে বড় সমালোচক অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২১
ভিএস/এসআইএস  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।