ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরার পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে কৈলাসহরের শৃঙ্গিরী সারদা পিঠ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
ত্রিপুরার পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে কৈলাসহরের শৃঙ্গিরী সারদা পিঠ ত্রিপুরার পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে কৈলাসহরের শৃঙ্গিরী সারদা পিঠ। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে খুব দ্রুত যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও একটি নতুন পালক। ঊনকোটি জেলা কৈলাসহরে বিশাল জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের আদলে একটি মন্দির।

এই মন্দিরের কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে অভিমত সংস্থার।

ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর শৈব তীর্থ উনকোটির জন্য ত্রিপুরা তথা সারা ভারত এমনকি বিদেশেও সুপরিচিত। ঊনকোটির পাশাপাশি কৈলাসহরে কর্ণাটক রাজ্যের শৃঙ্গিরী সারদা পিঠ ট্রাষ্ট দক্ষিণ ভারতের আদলে একটি মন্দির তৈরি করছে। মন্দিরের নাম ঊনকোটি শৃঙ্গিরী সারদা পিঠ। ধর্মীয় কাজ কর্মের পাশাপাশি স্কুল, গোশালা, বৈদিক পাঠশালা, কমিউনিটিহলসহ আরও অনেক সামাজিক কর্মসূচীর পালন করা হবে বলে জানান এই প্রকল্পের স্থানীয় কমিটির সম্পাদক সুব্রত শীল।

মোট ১৬ বিঘা জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে মন্দিরটি। মন্দিরের জমি স্থানীয় এলাকার সাতটি পরিবার বিনামূল্যে দান করেছে। ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর মন্দিরের শিলান্যাশ হয়। নির্মাণ কাজ শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্যে বর্তমান সরকার আসার পর এখন ঠিকঠাক ভাবে এবং দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এই মন্দির শুধু কৈলাশহর নয় সমগ্র ত্রিপুরা তথা ভারতবর্ষের মধ্যে অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে। এত সুন্দর শিল্পকলা এবং বিশালতা নিয়ে রাজ্যের আর কোথাও মন্দির নেই। এই মন্দির নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে সাড়ে ছয় কোটি টাকার মতো খরচ হয়ে গিয়েছে। এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ শেষ হতে খরচ হতে পারে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি রুপি।

এই মন্দিরের যাতায়াতের জন্য ভালো রাস্তা ছিলো না সেই সঙ্গে মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা মনু নদীর ভাঙন একটি বড় সমস্যা ছিলো। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং স্থানীয় বিধায়কের চেষ্টায় নতুন করে ভালো রাস্তা তৈরি হচ্ছে সেই সঙ্গে ভাঙ্গন রোধের জন্য সিমেন্টের ব্লক নির্মাণ করে নদী পাড়ে লাগানো হচ্ছে। খুব দ্রুত এই মন্দিরের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। এই মন্দিরটি নির্মাণ হলে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে নতুন আরও এক মাত্রা যোগ হবে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এসসিএন/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।