ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বইমেলায় সাদাতকে পেয়ে আপ্লুত কলকাতাবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
বইমেলায় সাদাতকে পেয়ে আপ্লুত কলকাতাবাসী

কলকাতা: তিনি বাঙালির তরুণ প্রতিভা, তার সাহিত্যসুধা পান করছেন প্রবীণ থেকে প্রজন্মরা। বাংলাদেশে সীমানা পেরিয়ে সাহিত্যপ্রিয় বিশ্ব বাঙালির কাছে সমান জনপ্রিয়।

তিনি সাদাত হোসাইন বাঙালির জনপ্রিয় লেখক।  

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ধরা দিলেন কলকাতার বইমেলা প্রাঙ্গণে। ফ্যানদের আবদারে কখনো বিলোলেন অটোগ্রাফ আবার কখনো ভক্তদের মেটালেন সেলফি আবদার।

জমজমাট আমেজে ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বুধবার বিকেলে পা রাখার পর যতটুকু সময় পেয়েছিলেন সাদাত, এভাবেই কাটলো তাঁর সন্ধ্যাটা। সিডিউল অনুযায়ী, বিকেল ৩-৪টা পর্যন্ত সাদাত ছিলেন কলকাতার পত্রভারতী প্রকাশনীর স্টলে। ৪৬তম মেলায় পত্রভারতী প্রকাশ করেছে সাদাতের মরণোত্তম ও মেঘেদের দিন -এর ভারতীয় সংস্করণ। এরপর ৪টার পর সাদাত আসেন বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে।  শঙ্খচূড় এবং সে এসে বসুক পাশে-এবারে দুটি বই তার প্রকাশ পেয়েছে।

তাঁর কলকাতা আগমনের ঘোষণা সামাজিক মাধ্যমে সাদাত নিজেই দিয়েছিলেন। ফলে কলকাতার সাহিত্যপ্রেমী পাঠকরা যেন অপেক্ষায় ছিলেন। সাদাতের দেখা পাওয়া মাত্র ঘিরে ধরেন সবাই। বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নের বাইরে লেখকের জন্য আয়োজন করা হয় চেয়ার টেবিল। সেখানে বসে পাঠকদের সইয়ের আবদার মেটালেন সাদাত। টেবিলের সামনে তখন আঁকাবাঁকা লম্বা লাইন। দেখলে মনে হবে কোনো নামিদামি কলেজের ভর্তির ফরম তুলছে শিক্ষার্থীরা।

গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতার বইপ্রেমীদের কাছে সাদাত অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। সেই চিত্রই ফুটে উঠেছে এবারের কলকাতা বইমেলায়। গতবার ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় থিমকান্ট্রি ছিল বাংলাদেশ। সেবারও সাদাতকে ঘিরে ছিল একই রকম উন্মদনা।  

বইমেলায় প্রিয় লেখক এসেছেন শুনেই নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না কলেজ শিক্ষার্থী প্রার্থনা রায়। সাদাতের লেখা কাজল চোখের মেয়ে বইটি হাতে নিয়ে ঘুরছেন, সই নেবে বলে। অপরদিকে, চন্দ্রভূষণ কীর্তনিয়া, তিনিও সাদাত এর ফ্যান। ইতোমধ্যে তার কালেকশনে আছে শঙ্খচূড়, নির্বাসন, স্মৃতিগন্ধা, সে এসে বসুক পাশেসহ সাদাতের লেখা একাধিক কবিতার বই। এবারে চন্দ্রভূষণ কিনেছেন প্রণয় তুমি প্রার্থনা হও, তোমাকে দেখার অসুখ, কাজল চোখের মেয়ে। চন্দ্রভূষণের অভিমত, কাঁটাতার হয়তো দুটো দেশ আলাদা হতে পারে কিন্তু স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণকে ভাগ হয়নি। রাজনৈতিক সীমারেখা যে ভাষাকে আলাদা করতে পারে না সাদাত আমাদের মত প্রজন্মর কাছে তারই প্রমাণ। একটা অটোগ্রাফের জন্য এদিন প্রায় ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করেছেন মধ্য বয়সী সোমা বিশ্বাস। তার অভিমত, ভীষণ ভালো লাগে, আর সেই ভালোলাগা থেকেই সাদাতের জন্য বইমেলায় আসা।  

তবে বিশাল এই ফ্যান ফলোয়ার দেখে বিরক্ত নয় সাদাত। বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি পাঠকদের কাছে আপনার ফ্যান বেশ কম নয় এটা কিভাবে উপভোগ করেন? আমি অনুপ্রাণিত বোধকরি। একজন সৃষ্টিশীল মানুষ চান তার সৃষ্টি অনেকের কাছে পৌঁছে যাক। যখন কোনো লেখকের লেখা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়, তখন সেই সৃষ্টিশীল মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, আমাকেও করে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।