ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেন্ট স্কলাস্টিকাসে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও হস্তশিল্প মেলা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
সেন্ট স্কলাস্টিকাসে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও হস্তশিল্প মেলা ...

চট্টগ্রাম: ঐতিহ্যবাহী সেন্ট স্কলাস্টিকাস্ গার্লস্ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও হস্তশিল্প মেলা উদ্বোধন করে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মো. জাহেদুল হক বলেছেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে স্কুলে মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তোমরা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছো।

তোমরা এক বিবর্তনের সাক্ষী। তোমাদের শিক্ষাজীবনের মধ্যেই দেখতে পেয়েছো ডিজিটাল বাংলাদেশ।
কিছুদিনের মধ্যে টানেল দিয়ে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে অপর পাড়ে চলে যেতে পারবে। আমাদের এখন স্যাটেলাইট আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন তোমরাই সে দেশের নাগরিক। পুরো বিশ্বে এখন আলোচনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মেশিন টু মেশিন যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে উৎপাদনে বিশাল পরিবর্তন আসবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নতুন ধারণার সঙ্গে তোমাদের পরিচিত হতে হবে।  

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা খাদ্য উৎপাদন বহুগুণ বাড়িয়েছি। বিজ্ঞানীর লবণাক্ত মাটিতে উৎপাদন সম্ভব এমন জাতের ধানও উদ্ভাবন করেছেন। কৃষি জমিতে এখন সেন্সর ব্যবহার হচ্ছে। তোমরাই ভবিষ্যতে নতুন নতুন আবিষ্কারে কৃষি উৎপাদনকে এগিয়ে নেবে। বাংলাদেশের হস্তশিল্প এখন বিদেশে রপ্তানি হয়। তোমরাই ভবিষ্যতের উদ্যোক্তা হবে মেধা মননের বিকাশের মধ্য দিয়ে। সে সুযোগ করে দিচ্ছে বিদ্যালয়। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে তোমরা এগিয়ে যাবে। আধুনিক উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী দেখছেন, তার জন্য তোমাদের শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে তিনি দু হাতে দিচ্ছেন, তোমাদের স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে। বড় হয়ে এর প্রতিদান তোমাদের দেশকে দিতে হবে। জনগণের রাজস্বের টাকায় তোমাদের শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ হচ্ছে। তাই পড়া শেষে দেশ সেবা করে সেই ঋণ শোধ করতে হবে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সেন্ট স্কলাস্টিকাস্ গার্লস্ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ফাদার লেনার্ড সি. রিবেরু বলেন, ক্ষুদ্র প্রয়াসের মধ্যে দিয়ে আমরা বড় কিছুর দিকে ধাবিত হই। বিজ্ঞান উদ্ভাবনী শক্তি। আমরা উন্নতি চাই, মঙ্গল ও কল্যাণ চাই। ধ্বংস নয়। আজকের ছোট ছোট আবিষ্কারের মধ্যে মিশে আছে মেধা, শ্রম ও চিন্তা। তোমাদের মধ্য থেকেই ভবিষ্যৎ পাবে নতুন বিজ্ঞানী। শিক্ষা আমাদের বিবেকবান করে তোলে। স্কুল থেকেই সবকিছুর শুরু। মানবের সেবায় সব অর্জন বিলিয়ে দিতে হবে ভবিষ্যতে।

সেন্ট প্লাসিডস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার স্যামুয়েল সবুজ বালা বলেন, যেকোনো সহশিক্ষা কার্যক্রম খুব আনন্দের। এর মধ্য দিয়ে টিম ওয়ার্কের চর্চা হয়। বিজ্ঞান প্রজেক্টগুলোর মধ্য দিয়ে মেধা বিকশিত হবে এবং উৎকর্ষ লাভ করবে, যা ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের শক্তি জোগাবে।

সেন্ট স্কলাস্টিকাস্ গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিল্পী সেলিনা কস্তা বলেন, আধুনিক যুগের বিস্ময় বিজ্ঞান। বিজ্ঞান সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রাত্যহিক জীবনকে সহজ করতে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন। এ মেলার গুরুত্ব প্রাত্যহিক জীবনে অনেক। বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে করেছে সহজ। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমুখী করে নব নব আবিষ্কারে উদ্বুদ্ধ করতে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন। সবাইকে হতে হবে বিজ্ঞানমনস্ক। ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি সমাজ ও দেশের কল্যাণে শিক্ষার্থীদের এ জ্ঞান ভূমিকা রাখবে।

'বিহুরে লগন, মধুর এ লগন, আকাশে বাতাসে' গানের সঙ্গে শিক্ষার্থীর নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।  
   
স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক এম মণিকা জিন্স ও শিক্ষক শামাপদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট স্কলাস্টিকাস্ গার্ল্ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ সিস্টার অসীমা স্কলাস্টিকা রিবেরু, গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি সাথী গোমেজ, কামনাশীল ভট্টচার্য ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শিক্ষক রাজীব চক্রবর্তী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা বিজ্ঞান প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখেন অতিথিরা। এর মধ্যে ‘হোম অব দ্যা নেক্সট সেঞ্চুরি’, ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’, ‘ডিসাইরেবল সিটি’, ‘ইলেকট্রোস্টেটিক প্রেসিপিটেটর’ সহ প্রায় একশ’ প্রকল্প প্রদর্শিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।