ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চাই গড়তে পারে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
‘সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চাই গড়তে পারে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’ ...

চট্টগ্রাম: অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেছেন, সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে এদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এই সাহিত্য মেলা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জেলা সাহিত্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে যারা সাহিত্য চর্চা করেন তাদেরকে মূল স্রোতধারায় এনে বাংলার সাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধ করা এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য।

সঠিক-শুদ্ধ সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবনধারা অপ-সংস্কৃতি হতে মুক্তি পাবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান। অতিথি ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন, কবি আবুল মোমেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শামসুল হক, কবি হাফিজ রশিদ খান, সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলম, শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ, কবি ওমর কায়সার, কবি স্বপন দত্ত, প্রাবন্ধিক খালেদ হামিদী, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার প্রমুখ।

দুইদিন ব্যাপী মেলায় থাকছে তিনটি সেমিনার, প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা এবং কর্মশালা। থাকছে সাহিত্যের বিভিন্ন ধরন, ছন্দ, বানান, কবিতা, ছড়া ও বাক্য গঠন নিয়ে প্রশিক্ষণ। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, মুসলিম হাইস্কুল ও নাসিরাবাদ বালক স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।  

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহবুবুল হক বলেন, জেলা সাহিত্য মেলার মাধ্যমে চট্টগ্রামে সাহিত্যের স্রোতধারার গতি আরও বেগবান হবে। এই মেলা সৃষ্টিশীলতা, সৃজনশীলতায় অবদান রাখবে। নব্য সাহিত্যিকরা নতুন নতুন সাহিত্য সৃষ্টিতে অনেুপ্রেরণা পাবে।

বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত মোহাম্মদ শামসুল হক বলেন, বাংলাদেশে যে অসুস্থ সংস্কৃতির চর্চা রয়েছে- সাহিত্য মেলার ধারা অব্যাহত থাকলে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

প্রধান বক্তা এ এইচ এম লোকমান বলেন, প্রতিটি সুন্দর সৃষ্টিই ইতিহাস। সংস্কৃতি হচ্ছে জীবন চর্চা ও বিশ্বাসের জায়গা। সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে জাতি ও জাতীয়তা।  তৃণমূল পর্যায়ে যারা সাহিত্য চর্চা করে তারা যাতে মূল ধারায় আসতে পারে সেই লক্ষ্যে বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেলা আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন। সভ্য মানুষের জন্য সমাজ। সংগ্রামী মানুষের জন্য সমাজ। মাদকমুক্ত, জঙ্গিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সুস্থ বাংলাদেশ গড়তে সাহিত্য মেলার বিকল্প নেই।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যা শীঘ্রই সবার মাঝে বিতরণ করা হবে। এতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাই অবগত থাকবেন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১ম বারের মত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ফ্লাওয়ার ফেস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা সংস্কৃতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।