ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বাঁচা-মরার লড়াইয়েও 'রক্ষণাত্মক' বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
বাঁচা-মরার লড়াইয়েও 'রক্ষণাত্মক' বাংলাদেশ পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের একাদশের ধরন সেই একইরকম। ছবি: শোয়েব মিথুন

চট্টগ্রাম টেস্টে লজ্জার হার থেকে খুব বেশি শিক্ষা নেয়নি বাংলাদেশ। এর বড় প্রমাণ ভেন্যু পরিবর্তন হলেও একাদশের ধরন সেই একইরকম।

বরং বলা যায়, আগের চেয়েও কিঞ্চিৎ অদ্ভুত।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কুঁচকির ইনজুরির কারণে সাকিব আল হাসান না থাকায় দলে ঢুকেছেন সৌম্য সরকার। টেস্ট ক্রিকেটে আহামরি কোনো পারফরম্যান্স না থাকা সত্ত্বেও তাকে ডাকা হয়েছে মূলত পার্ট টাইম বোলার হিসেবে। ১৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে যার ব্যাটিং গড় মাত্র ২৯.২১ আর উইকেট মাত্র ৩টি। তার দলে সুযোগ পাওয়া তাই কিছুটা অবাক করার মতোই।

তবে সৌম্য যেমন-তেমন, দলে আছেন তিন জেনুইন উইকেটরক্ষক- লিটন দাশ, মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুন। বিশ্বের কোনো টেস্ট দলে এমন ঘটনা হয়তো নজিরবিহীন পর্যায়েই পড়ে। কিন্তু তারচেয়েও বড় সমস্যা টাইগারদের স্পিন নির্ভরতা। রক্ষণাত্মক এই স্ট্রাটেজি যে অনেক পুরনো হয়ে গেছে তা সমর্থকরা বুঝলেও দায়িত্ববানরা কেন যেন বুঝতে পারেন না।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটি এমনিতেই আনপ্রেডিক্টেবল। তাছাড়া ক্যারিবীয় দলটি যতোই অনভিজ্ঞ হোক না কেন, দলের প্রায় সবাই টি-টোয়েন্টিতে পারদর্শী। তাই স্লো পিচে নিচু হয়ে আসা বলে ধুমধাড়াক্কা চার-ছক্কা মারা তাদের পক্ষে খুবই সম্ভব।

চট্টগ্রাম টেস্টেই কাইল মায়ার্স তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। ক্যারিয়ারে প্রথম টেস্টেই হাঁকিয়েছিলেন অবিশ্বাস্য এক ডাবল সেঞ্চুরি, যার ওপর নির্ভর করে জয়ও তুলে নিয়েছে দলটি। ম্যাচের শেষদিনের অর্ধেক দিন পর্যন্তও হয়তো এমন কিছু হতে পারে ভাবেনি কেউই।

এক পেসার নিয়ে খেলার ফলাফল কি হতে পারে সেই শিক্ষা পেলেও ঢাকা টেস্টেও সেই পথেই পা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। দলে সাকিব না থাকায় এমনিতেই শক্তিমত্তার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তারপরও সেই স্পিন নির্ভর দল। আগের ম্যাচে বল হাতে ব্যর্থ নাঈম হাসানকে রাখা হয়েছে মূল একাদশে। বাদ পড়েছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু তার বদলে আসলেন আবু জায়েদ রাহি।

দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ফেরা মোস্তাফিজকে এক ম্যাচ খেলিয়েই বসিয়ে রাখার কারণ স্পষ্ট নয়। দুইজনকে একসঙ্গে খেলালে হয়তো আরও একটু ইতিবাচক হতে পারতো। কিংবা তরুণ পেসার হাসান মাহমুদকে বসিয়ে রাখাও প্রশ্নের উদ্রেগ ঘটায়। দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুতি নিতে থাকা তাসকিনও হয়তো দলে ঢোকার দাবি রাখেন। কিন্তু তা না করে সেই চেনা পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে কি হবে তা হয়তো পরে জানা যাবে। কিন্তু সাদমানের বদলে মিঠুন হয়তো ভালো চয়েজ। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত কেন বার বার সুযোগ পান সেটাও এক প্রশ্ন বটে। সাকিব ছাড়া বাংলাদেশ দল তো এমনিতেই দুর্বল। তারওপর এমন একাদশ সাজিয়ে আদৌ কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে কি না তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

যাই হোক, টসে হেরে ফিল্ডিং নিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে পঞ্চাশ পার করে ফেলেছে স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।