ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘ইউনিভার্স বস’ আর আসবে না, বললেন গেইল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২০
‘ইউনিভার্স বস’ আর আসবে না, বললেন গেইল ক্রিস গেইল/ছবি: বাংলানিউজ

ফ্র্যাঞ্চাইজিভত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর ‘পোস্টার বয়’ ক্রিস গেইল। টি-টোয়েন্টি মানেই গেইলের দানবীয় ব্যাটিং প্রদর্শনী। ক্রিজে তার উপস্থিতি মানেই প্রতিপক্ষ বোলারদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে নেমে যাওয়া আর বল নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি লাইনে আছড়ে পড়া। একাই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা আছে ক্যারিবীয় দানবের। এমন অবিশ্বাস্য সাফল্যের কারণে তাকে বলে হয় ‘ইউনিভার্স বস’।

সবকিছুরই শেষ আছে। গেইলের দানবীয় ব্যাটিংও একদিন ইতিহাসে ঢুকে যাবে।

কিন্তু আর কেউ কি সেই জায়গা নিতে পারবেন? উত্তরটা অজানা। কিন্তু যাকে নিয়ে এত কথা সেই গেইল নিজে মনে করেন, গেইল কিংবা ‘ইউনিভার্স বস’ একজনই। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলতে আসা গেইল বলেন, ‘ক্রিস গেইল কিংবা ইউনিভার্স বস বলে আর কেই আসবে না। তবে কেউ না কেউ থাকবে, তবে সে আমার মতো হবে না। ’

কেন তার বিকল্প কেউ হবে না, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন বিধ্বংসী ওপেনার, ‘এমন অবস্থান পেতে হলে আপনাকে সারা বিশ্বে খেলতে হবে, আপনাকে নিজের নামের জন্য জায়গা করে নিতে হবে আর সব কন্ডিশনে পারফর্ম করতে হবে, যা আমি করেছি। আমার কিছুই প্রমাণ করার নেই এবং সবাই জানে আমার ক্যারিয়ার এখন কোন অবস্থানে আছে। ফলে বাকিদেরও একই পথে হাঁটতে হবে। অনেকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের কারণে সুযোগটা পায় না। ফলে অধিকাংশই বিশ্বজুড়ে খেলার অভিজ্ঞতা নিতে পারে না। ’

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বয়স ২০ বছর ছাড়িয়ে গেলেও ক্রিকেটকে আগের মতোই উপভোগ করেন বলে জানালেন গেইল, ‘আমি এখনও ক্রিকেট উপভোগ করি। আমি শুধু মনে করি কিছুটা স্লো হয়ে গেছি। আমি এখন সামনের জীবন নিয়ে পরিকল্পনা করছি। প্রায় ২০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। ফলে ক্রিকেটের পরের জীবন নিয়েও ভাবতে হয়। এখন তো আগের মতো সব টুর্নামেন্টে খেলা সম্ভব নয়। ’

এবারের বিপিএলে চট্টগ্রামের হয়ে খেলছেন গেইল। দল আর প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা (এবারের আসর) কিছুটা আলাদা। রাতে বেশ ঠান্ডা থাকে। এখন পর্যন্ত মাত্র এক ম্যাচ খেলেছি। পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত কারণে এবার দেরিতে যোগ দিয়েছি। দলে কয়েকজন নতুন সতীর্থ দেখছি। অধিকাংশের সঙ্গেই এর আগে একই দলে খেলেছি কিংবা প্রতিপক্ষ দলে খেলেছি। তবে এখন সবাই সতীর্থ। দল ভালো করছে, ফলে এমতাবস্থায় আমি নিজেকে সেট করে নিতে সুযোগ পাব। ’

গেইল যে বয়সে খেলে যাচ্ছেন, এই বয়সে প্রায় সবাই ব্যাট-প্যাড তুলে রাখেন। কিন্তু এখনও চুটিয়ে খেলে যাচ্ছেন তিনি। এর রহস্য কি সেটাও খোলাসা করলেন তিনি, ‘এখনও বহু মানুষ গেইলের খেলা দেখতে চায়। আমারও খেলাটার প্রতি ভালোবাসা আর প্যাশন আছে। আমি টি-টোয়েন্টি যতদিন সম্ভব চালিয়ে যেতে চাই। আমার কাছে এখনও অনেক প্রস্তাব আসে। শরীরটাও সাড়া দিচ্ছে এবং মনে হয় ক্রমেই যেন আমার বয়স আরও কমছে।

বাংলাদেশের বিপিএলে সবসময় বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে আসছেন গেইল। এখানে তাকে ‘পোস্টার বয়’ ডাকা হয়। বিষয়টা বেশ উপভোগ করেন গেইল, ‘এটা (বাংলাদেশ) এমন স্থান যেখানে খেলতে আসা দারুণ ব্যাপার। বিশেষ করে সমর্থকদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পাওয়া যায়, এতে আরও ভালো করার উৎসাহ পাওয়া যায়। তারা (সমর্থকরা) আনন্দ চায়। এটা খেলোয়াড় হিসেবে বাড়তি প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে। আমার খেলাও অবশ্য এমনই। এট বছর ধরে বাংলাদেশে খেলতে আসা দারুণ ব্যাপার আর আমি এটা উপভোগ করি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।