ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মিরাজ-মুমিনুলের ধৈর্য্যের ফসল রাজশাহীর জয়

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
মিরাজ-মুমিনুলের ধৈর্য্যের ফসল রাজশাহীর জয় মিরাজ ও মুমিনুলের ব্যাটে চড়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে রাজশাহী-ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

নতুন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী কিংস। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছেন মিরাজরা। জয়ের ম্যাচে মিরাজ ও মুমিনুল হকের অসাধারণ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন।

তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি বলটা তেমন বুঝতেই পারলেন না পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ। ব্যাটের মাথায় লেগে উঠে গেল অনেকটা উপরে।

কিন্তু তাইজুলের বলের থেকেও আরিফুল হকের ক্যাচটাই যেন চোখে লেগে থাকার মতো। অনেকটা পথ দৌড়ে নিলেন এক দুর্দান্ত ক্যাচ। হাফিজ ফিরলেন ৫ বলে ৬ করে।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনেই নেমে এলেন রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। এই বড় রদবদলের ফলটা বেশ ভালোই পেলো কিংসরা। মুমিনুলের সঙ্গে মিলে অসম্ভব ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে দুজন মিলে গড়লেন ৮৯ রানের অসাধারণ জুটি। রানের চাকা সচল রেখে দলীয় রান পৌঁছালো ১০০ এর ঘরে। দলীয় শতক হতেই আউট হয়ে ফেরেন মুমিনুল।

পল স্টার্লিংয়ের বলে শরীফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে মুমিনুল চারটি চারের মারে ৪৩ বলে ৪৪ রান করেন। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক মিরাজ। নিজের রানটাও পৌঁছে নেন হাফসেঞ্চুরিতে। ৪৩ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কার মারে চলতি আসরের প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন সৌম্য সরকার (১১) ও ইভান্স (১)।  

বল হাতে রাজশাহীর দুই নায়ক মোস্তাফিজ ও উদানা-ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজএর আগে, রাজশাহী কিংসের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলেছে খুলনা টাইটান্স। রান খরার এই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রাজশাহীর ইসুরু উদানা ও মোস্তাফিজুর রহমান।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকেল ৫.২০ মিনিটে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।  

শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি খুলনার ব্যাটসম্যানরা। যদিও ওপেনিং জুটিতেই ৪০ রান তুলে ফেলেছিলেন পল স্টার্লিং ও জুনায়েদ সিদ্দিক। কিন্তু ওই রানেই পরপর বিদায় নেন দুজনেই। ১৪ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রান করে মোস্তাফিজের বলে বিদায় নেন স্টার্লিং। পরের ওভারেই উদানার বলে বিদায় নেন ১৮ বলে ৪ চারে ২৩ রান করা জুনায়েদ।

ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন রিয়াদদুই ওপেনারকে হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১৮ বলে মাত্র ১১ রান করে মোস্তাফিজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন। এরপর বলার মতো রান আসে শুধু ডেভিড মালানের (১৮ বলে ১ ছক্কা ও ১ চারে ২২ রান) ব্যাট থেকে।

বল হাতে খুলনার ইনিংসে মূল আঘাত হানেন লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানা ও টাইগার পেসার মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন উদানা। আর ৪ ওভারে ১৮ রান খরচে ২ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আরাফাত সানি, কায়েস আহমেদ ও সৌম্য সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমকেএম/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।