ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মিরপুরে ইংল্যান্ড, অজিদের পর লঙ্কা বধে চোখ টাইগারদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৮
মিরপুরে ইংল্যান্ড, অজিদের পর লঙ্কা বধে চোখ টাইগারদের ছবি: শোয়েব মিথুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র করার পথে প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রান করেও শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং দৃঢ়তায় এতটুকু নির্ভার ছিল না স্বাগতিক শিবির। লঙ্কান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস, ধনাঞ্জয় ডি সিলভা ও রোশেন সিলভার সেঞ্চুরিতে ৭১৩ রান করে প্রথম ইনিংসে পরিষ্কার ২শ রানে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।

যা অতিক্রম করতে গিয়ে চতুর্থ দিনে ৮১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেয় মাহমুদউল্লাহ দল। ম্যাচ বাঁচানো যাবে তো? এমন প্রবল চাপ নিয়েই পঞ্চম দিনের ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ।

একদিকে ১১৯ রানে পিছিয়ে থাকার বোঝা আরেকদিকে ৭ উইকেট নিয়ে পুরো একটি দিন কাটিয়ে দেওয়ার সংগ্রাম। সঙ্গে আড়াই দিনের ফিল্ডিংয়ের ক্লান্তিতো ছিলই। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মুমিনুল হক ও লিটন দাস।

জয় না হোক ন্যূনুতম ড্র। এমন মানসিকতা নিয়ে প্রবল চাপকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসের ১৭৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ঐতিহাসিক এক পটভূমির রচনা করেন মুমিনুল। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসে তুলে নেন ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি (১০৫)। আর লিটন দাস খেলেন ৯৪ রানের ইনিংস।

বলা বাহুল্য, এমন ব্যাটিংয়ের পর তারা ফিরে যাওয়ার পরেও কিছুটা শঙ্কার তৈরী হয়েছিল, শেষ রক্ষা হবে তো? অবশেষে হয়েছে, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেকের ব্যাটে যখন বাংলাদেশ পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করলো তখনই এসে ম্যাচ থামানোর প্রস্তাব দিলেন লঙ্কান দলপতি। ব্যাস, ম্যাচ ড্র হয়ে গেল।

ছবি: শোয়েব মিথুন - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএমন অম্লমধুর একটি ড্র’র পর ঢাকায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে আরও ভালো কিছুর জন্য মুখিয়ে আছেন টাইগারদের সাবেক দলপতি মুশফিকুর রহিম, ‘সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট দারুণ হয়েছে। আমরা মুখিয়ে আছি ঢাকাতে ভালো করার ব্যাপারে। আমাদের দারুণ সুযোগ আছে ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নেয়ার। ’ এই অনুভূতিটা বলে বোঝানো যাবে না: মুশফিক

আর এই ক্ষেত্রে তাকে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ড ও গেল বছরের আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয়ের সুখস্মৃতি। চট্টগ্রামে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট পেলেও মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যে উইকেটেই খেলা হোক না কেন বিগত এই দুই সিরিজের টেস্ট জয়ই লঙ্কান বধে মুশফিককে লোভাতুর করে তুলছে।

‘উইকেট যদি কঠিন হয় প্রতিপক্ষও কিন্তু সেই কঠিন ব্যাপারটার মধ্য দিয়ে যাবেই। উইকেট নিয়ে চিন্তা করার খুব বেশি সময় আসলে নেই। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমরা যেরকম উইকেটে খেলেছি তা কিন্তু সহজ ছিল না। আমি মনে করি যে উইকেটেই খেলিনা কেন আমাদের প্রয়োগটা সঠিকভাবে করতে হবে। সেটা করতে পারলে ইতিবাচক ফলাফল আসবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।