ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মেন্ডিস-সিলভা জুটি ভাঙতে ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮
মেন্ডিস-সিলভা জুটি ভাঙতে ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা ছবি: সোহেল সরওয়ার - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৫১৩ রানের জবাবে ১ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার জুটি ভাঙতে মরিয়া বাংলাদেশ। যত দ্রুত সম্ভব ব্রেকথ্রু এনে দিতে চোখ রাখছে মিরাজ-মোস্তাফিজরা।

এখনো ৩২৬ রানে পিছিয়ে লঙ্কানরা। রানের খাতা না খুলতেই দিমুথ করুণারত্নেকে হারানোর পর মেন্ডিস-সিলভা পার্টনারশিপে দুর্দান্তভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা।

সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে চাপে পড়ে যেতে পারতো স্বাগতিক শিবির। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে স্লিপে ক্যাচ মিস না হলে শুরুতেই বিদায় নিতেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৪ রানে জীবন পেয়ে বেশ ভুগিয়েছেন লঙ্কান ওপেনার। সেঞ্চুরি থেকে ১৭ রান দূরে তিনি। শতক হাঁকিয়ে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ানডাউনে নামা ধনাঞ্জয়া।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। স্লিপে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন করুণারত্নে (০)। একমাত্র উইকেটশিকারি মিরাজের হাতেই নতুন জীবন পান মেন্ডিস। ক্যাচটি অবশ্য সহজও ছিল না। দ্বিতীয় স্লিপ থেকে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আয়ত্তে নিতে পারেননি। বরং প্রথম স্লিপে থাকা ইমরুল ভালো ক্যাচিং পজিশনে ছিলেন।

এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চালকের আসনে থেকে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা। প্রথম দিন শেষে দলীয় সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৩৭৪।

লক্ষ্য পূরণ হয়নি ‘লিটল মাস্টার’ মুমিনুল হকের। মাত্র ১ রান যোগ করেই হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন চোখ ধাঁধানো ইনিংসের মালিক। রঙ্গনা হেরাথের বলে মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন। নিজের আগের সর্বোচ্চ ১৮১ রানের ইনিংস ও ডাবল সেঞ্চুরি ছোঁয়ার অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘায়িত হলো তার। থামেন ১৭৬ রানে। ২১৪ বলের সাজানো ইনিংসটিতে ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার মার ছিল।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে যান ইনজুরি আক্রান্ত সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে টেস্ট অধিনায়ত্বের অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজ ২০ (রানআউট) ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম ২৪ রান করেন। মুমিনুল-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটে ভর সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫১৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় দল।

প্রথমদিন মুমিনুলের সঙ্গে ২৩৬ রানের রেকর্ড তৃতীয় জুটিতে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন মুশফিক (৯২)। তামিম ইকবাল ৫২, ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ৪০। এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দুই হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ।
সফরকারীদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন হেরাথ ও পেসার সুরাঙ্গা লাকমল। লক্ষণ সান্দাকান দু’টি ও অন্যটি অরেক স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরার।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।