ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

উদযাপন নয়, ট্রফি জয়েই বিসিবির যত মনোযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
উদযাপন নয়, ট্রফি জয়েই বিসিবির যত মনোযোগ শের-ই-বাংলার ১০০তম ওয়ানডে দর্শক হয়ে দেখেছেন মাশরাফিরা-ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মিরপুর শের-ই-বাংলায় মালইফলক স্পর্শকারী শততম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচটির আগে গেল বছরের মার্চে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেছিল। সেটি হলো, শততম টেস্ট ম্যাচ। যা মুশফিকুর রহিমরা খেলেছিল শ্রীলঙ্কায়।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো এমন দু’দুটি মাহেন্দ্রক্ষণের কোনটিতেই বিসিবিকে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

ধরেই নিচ্ছি শততম টেস্ট ম্যাচটি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাই সম্ভব হয়নি।

কিন্তু শের-ই-বাংলায় কেন হলো না? ঘরের মাটিতে খেলা, সব কিছুইতো নিজেদের অনুকূলে ছিল। তা সত্বেও সাদামাটা আয়োজনের বাইরে বিসিবি যেতে পারেনি। তার চাইতেও দুঃখজনক হলো বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই ম্যাচটিতে মাঠে দর্শক উপস্থিতি ছিল সাকুল্যে ৫শ!

তাছাড়া লাল-সবুজের রঙিন পোশাকের মাইলফলক স্পর্শকারী ম্যাচটিকে সামনে রেখে প্রচার বিমুখ দেখা গেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটিকে। কেন বিসিবি এতটা উদাসীন ছিল? জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে। উত্তরে তিনি জানালেন, ‘একেক সময় সময় একেকটা ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়। এই মুহুর্তে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই সিরিজটা জেতা। আমরা বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত ট্রাই নেশন্স বা একাধিক টিম খেলেছে এমন কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়নি। এবার আমাদের সামনে একটা সুযোগ আছে। এশিয়া কাপের ফাইনালে ২ রানের জন্য জিততে পারিনি। আমাদের একটা  আক্ষেপ আছে। এই বার এই একটা সুযোগ আছে আমাদের। বছরটা যদি শুরু করতে পারি চ্যাম্পিয়ন হয়ে তাহলে এর চেয়ে সুন্দর জিনিস আর কিছু হয় না।  আসল মনযোগ এই সিরিজে শুধু চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ’

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিসিবি কার্যালয়ের সামনে তিনি একথা বলেন।

পাপন এ সময় কথা বলেন প্রস্তাবিত পূর্বাচল ভেন্যু নিয়েও। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অতীত সংরক্ষণে মিরপুরে কোনো যাদুঘর কিংবা আর্কিইভ প্রতিষ্ঠা আজও বিসিবির পক্ষে সম্ভব হয়নি। যা পূর্বাচলে করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘পূর্বাচলে আমাদের একটা নতুন স্টেডিয়াম হচ্ছে। আমরা এখন যেটা করছি ওটাকে টার্গেট করে …ও খানটায় আমরা কী কী করতে চাই…কাজটা এখান থেকে শুরু করে এখানটায়ও থাকবে। এখানটা তো আর চলে যাচ্ছে না। স্মৃতি থাকবেই, স্টেডিয়াম তো থাকবেই। এখানে ম্যাক্সিমাম যা করা যায় করবো। বাকিগুলো আমরা ওখানে নিয়ে যাব। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।