ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

১০০ ওয়ানডের এলিট ক্লাবে পা রাখছে মিরপুর স্টেডিয়াম

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
১০০ ওয়ানডের এলিট ক্লাবে পা রাখছে মিরপুর স্টেডিয়াম মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম / ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ছাড়াই ঐতিহাসিক ম্যাচ আয়োজন। ভাবা যায়! সূচির মারপ্যাঁচে উপলক্ষটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্বাগতিক দর্শকরা। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচ দিয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১০০তম ওয়ানডে।

বিশ্বের ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে ১০০ ওয়ানডের অভিজাত তালিকায় প্রবেশ করবে হোম অব ক্রিকেট। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মিরপুরে শততম ওডিআই’র পর্দা উঠবে।

যার স্বাদ নেবে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। খেলা শুরু বেলা ১২টায়।

মাইলফলকের ম্যাচে বাংলাদেশ টিমের উপস্থিতি না থাকায় হয়তো বিশেষ কোনো পরিকল্পনা রাখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচটি ছিল ৯৯তম।

জিম্বাবুইয়ানদের উড়িয়ে দিয়ে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের প্রথম শিরোপা মিশনে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছে স্বাগতিক শিবির। সফরকারীদের ১৭০ রানে গুটিয়ে দিয়ে অনায়াসেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় মাশরাফির দল। ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম ইকবাল। আগামী শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সাবেক কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহের শ্রীলঙ্কাকে মোকাবিলা করবে টাইগাররা।

একদিক থেকে আগের পাঁচটি ভেন্যুকে ছাড়িয়ে যাবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সবচেয়ে কম সময়ে একশ’ ওয়ানডে গড়াচ্ছে ভেন্যুটিতে। মাত্র ১১ বছরের বেশি সময় লাগছে। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে এর পথচলা শুরু।

স্মৃতিময় প্রিয় মাঠটিতে অনেক সাফল্য উদযাপন করেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০ তে সিরিজ জয়, ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনাল। ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বিশ্বসেরা দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের শুরুটা হয়েছে এখান থেকেই। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় টেস্ট জয়েরও সাক্ষী মিরপুর।

এখন পর্যন্ত মিরপুরে ৯৯টি ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ খেলেছে ৮৪ ম্যাচ। জয় ৪০টিতে (৪৩ হার, এক ম্যাচ পরিত্যক্ত)। এই ভেন্যুটির প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেওয়া জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা বেশ রোমাঞ্চিত, ‘ঐতিহাসিক কিছুর অংশ হতে পেরে আমারও অসাধারণ লাগছে। আমি প্রথম ম্যাচেও ছিলাম। এমন একটি মুহূর্তে থাকতে পারারটা দারুণ কিছু। ’

সবচেয়ে বেশি ২৩১টি ওডিআই ম্যাচ আয়োজন করে সবার ওপরে শোভা পাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু। ১৯৭৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫৪ ম্যাচে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড।

তিনে রয়েছে অজিদের আরেক ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি)। এই মাঠেই ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। ১৯৭১ সালে শুরু হয়ে এমসিজিতে এ পর্যন্ত ১৪৮টি ওয়ানডে দেখা গেছে।

জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ১৯৯২ সাল থেকে ১৩৬টি ওয়ানডে উপভোগ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। পাঁচ নম্বরে শ্রীলঙ্কার আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। ১৯৮৬ সাল থেকে আজ অবধি ১২৪টি ম্যাচ গড়িয়েছে এখানে। ১০০ ওয়ানডের এলিট লিস্টে নাম লেখানোর অপেক্ষায় এখন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।