ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এতো টিকিট গেল কোথায়?

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এতো টিকিট গেল কোথায়? ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কিছুক্ষণ পরেই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের (বিপিএল) পঞ্চম আসরের ফাইনাল ম্যাচ। যেখানে টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের দিন বদলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুর রাইডার্স।

তাই ম্যাচটিকে ঘিরে পুরো দেশ জুড়েই বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা।

শুধু মাশরাফি সাকিবই কেন? ঢাকার এভিন লুইস, শহীদ আফ্রিদি, সুনিল নারাইন, কাইরন পোলার্ড ও রংপুরের গেইল, ম্যাককালাম, জনসনের ব্যাটিং তাণ্ডব দেখতে নিঃসন্দেহে দর্শকরা মুখিয়ে আছেন।

যারা টিভি পর্দায় দেখবেন তাদের কথা ভিন্ন।

কিন্তু যারা টিকিট নিয়ে মাঠে বসে বারুদে ঠাসা এই ম্যাচের উত্তাপ সরাসরি অনুভব করতে এসেছেন তারা পড়েছেন বর্ণনাতীত বিপাকে। কেননা ম্যাচের টিকিট নেই। স্টেডিয়ামের বাইরে হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমীরা ঝড়ো হয়েছেন কিন্তু টিকিট পাচ্ছেন না। চোখেমুখে টিকিটের জন্য হাহাকার!

তারা পাচ্ছেন না ঠিকই কিন্তু তাদের আশপাশ দিয়ে টিকিট ঘোরাঘুরি করছে। যারা ঘোরাচ্ছেন তারা সাধারণ মানুষের মতই। কিন্ত আজ হয়ে উঠেছেন অসাধারণ। তারা আজ মানুষ থেকে রুপান্তরিত হয়েছেন কালোবাজারিতে। এমন কালোবাজারি মিরপুরে আজই প্রথম না।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবিগত দিনগুলোতেও বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও সিরিজে তাদের দৌরাত্ব সবাই দেখেছে। আজও দেখছে। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা আজ বেশিই মনে হচ্ছে। কেননা আজ খোদ স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা প্রহরী এমনকি নিরাপত্তা কর্মীরাও কালোবাজারি বনে গেছেন!

তাদের প্যান্টের গোপন পকেট থেকে যে টিকিটিগুলো বের হচ্ছে তার দাম স্বাভাবিকের চাইতেও তিনগুন বেশি। ৫শ টাকার টিকিট তারা বিক্রি করছেন ন্যূনতম ১৫শ টাকায়। এরপরেও যার কাছ থেকে পারছেন আরও বেশি দামে বিক্রি করছেন। এমনই এক ভুক্তভোগী দর্শক অভিযোগ করলেন ‘আমি পুলিশের কাছে থেকে ৫শ টাকার টিকিট ২৩শত টাকা দিয়ে কিনেছি। ’

এই অনিয়ম যেন দেখার কেউ নেই। যেন অভিভাবকশূণ্য হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। যারা এদেশের ক্রিকেটের মূল দর্শক তারাই আজ ক্রিকেট বঞ্চিত।

মিরপুর শের-ই-বাংলার দর্শক ধারণক্ষমতা ২৬ হাজার। কিন্তু সাধারণ দর্শক ৫ হাজারও টিকিট পাননি। তাহলে ২১ হাজারেরও বেশি টিকিট গেল কোথায়?

জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক, ফ্র্যাঞ্চাইজি, রাজনীতিবিদদের ঘরে ফাইনাল ম্যাচের টিকিটের অভাব নেই। কিন্তু তারা তো আর এদেশের ক্রিকেটের নিয়মিত দর্শক নন। মৌসুমী এই দর্শকদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করে সত্যিকারের দর্শকদের বঞ্চিত করে এদেশের ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে?   

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।