শুরুতে বাংলাদেশ পড়ে গেল ব্যাটিং বিপর্যয়েই। একের পর এক ব্যাটার এলেন ও গেলেন।
সেন্ট ভিনসেন্টে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করেছে সফরকারীরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শুরুটা হয় সৌম্য সরকারকে দিয়ে। চতুর্থ ওভারের সময় মিড অনে গুদাকেশ মোতির হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার। তিনে খেলতে নেমে ব্যর্থ হন লিটন দাস।
ইনিংসের শুরু থেকেই রান করতে পারছিলেন না তিনি। ধৈর্যও তাই ছিল না। ১৯ বলে ৪ রান করে পুল করতে গিয়ে ঠিকঠাক পারেননি লিটন। ক্যাচ দেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো এভিন লুইসের হাতে।
চারে নেমে ৫ বলে ১ রান করে বোল্ড হন মেহেদী হাসান মিরাজ। সিলসের বল তার ব্যাটে লেগে চলে যায় স্টাম্পে। তিন ব্যাটার আউট হলেও ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম শুরু থেকেই খেলছিলেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে। তার ব্যাট থেকে আসছিল বাউন্ডারিও।
তবে সেটিও খুব বেশি লম্বা হয়নি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংসটি থেমেছে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গ্রেভসের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে। চার উইকেট হারিয়ে ফেলার পর হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
কিন্তু দলের রান যখন ১০০, তখনই আউট হয়ে যান আফিফ। ২৯ বলে ২৪ রান করে গুদাকেশ মোতির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি। ভাঙে ৩৬ রানের জুটি। ৯ বলে ৩ রান করে জাকের আলি ও ৮ বলে শূন্য রানে রিশাদ ফিরলে দলের বিপদ আরও বাড়ে।
১১৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দল যখন অল্প রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় তখনই হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব। দুজন মিলে ওয়ানডেতে অষ্টম উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েন।
২০১৯ সালে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে মিলে নিউজিল্যান্ডে ৮৪ রান করেছিলেন মোহাম্মদ সাফিউদ্দিন। এবার সেটিকে ছাড়িয়ে ১০৬ বলে ৯২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম সাকিব। ৬২ বলে ৪৫ রান করে রস্টন চেজের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়েই আউট হন তানজিম।
তিনি ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৪ উইকেটে ৬৪ রানে নেমেছিলেন তিনি। এরপর ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৯২ বলে ৬২ রান করে দলের রানকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে গেছেন রিয়াদ। তার বিদায়ের পর ৮ বলে ১৫ রানের ইনিংসে দলের রান আরেকটু বাড়িয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময় :
এমএইচবি