ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

‘ভার্চ্যুয়াল বিচার ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
‘ভার্চ্যুয়াল বিচার ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে হবে’ সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকা: দীর্ঘ চার মাস পর আপিল বিভাগে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। তবে সশরীরে নয়। করোনা মহামারির কারণে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিচার কাজ শুরু হয়।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ভার্চ্যুয়াল বিচার ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে। এ কার্যক্রম সফল হলে সপ্তাহের ৫ দিনই আপিল বিভাগ বসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সময় যুক্ত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন।

সর্বশেষ গত ১২ মার্চ আপিল বিভাগের বিচার কাজ চলে। পরদিন থেকে অবকাশকালীন ছুটিতে যায় আদালত। এর মধ্যে করোনার সংক্রমণ আসায় ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটিতে আদালতও বন্ধ থাকে।

গত ২৬ এপ্রিল ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন এবং ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সেদিন প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি।

এ অবস্থায় গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

২ দিন পর ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেতমত হাইকোর্ট বিভাগ, সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।

পরে ১০ মে ভিডিও কনফারেন্সে সব বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর (ফুলকোর্ট) ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত হয়। ওই অধ্যাদেশের পর নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ভার্চ্যুয়াল বিচার কাজ চলে। পরে ৮ জুলাই রোববার (১২ জুলাই) বিলটি সংসদে পাস হয়।

এদিকে রোববার (১২ মে) সকালে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে এবং শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ এবং অত্র কোর্ট কর্তৃক প্রণীত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ভার্চ্যুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালিত হবে মর্মে অনুমোদন প্রদান করেছেন।

‘আপিল বিভাগের ভার্চ্যুয়াল কোর্টে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সোয়া একটা পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করা হবে। ’ এরপর দেশের ইতিহাসে সোমবার (১৩ জুলাই) প্রথমবারের মতো আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ভার্চ্যুয়ালি বিচার কাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।