ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আদালত

উঠে গেছে কাগজের কজলিস্ট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৬
উঠে গেছে কাগজের কজলিস্ট

ঢাকা: দীর্ঘদিনের পুরনো হাইকোর্টের দৈনন্দিন কার্যতালিকা (কজলিস্ট) রোববার থেকে আর কাগজে ছাপানো হয়নি। ফলে এখন থেকে কেবলমাত্র অনলাইনে উচ্চ আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

রোববার (০৩ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘অদ্য ০৩/০৪/২০১৬ খ্রি. থেকে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অনলাইন কজলিস্ট অনুসারে’।

হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ বাংলানিউজকে বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুসারে আজ থেকে আর কজলিস্ট ছাপানো হয়নি।

গত বছরের ০১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া অনলাইন কজলিস্টের সফলবাস্তবায়ন শেষে গত ০১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাগজে ছাপা কজলিস্ট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে তার পরিবর্তে অনলাইন কজলিস্ট চালুর কথা ছিল।  

গত ২৮ জানুয়ারি সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।

ওইদিন বিকালে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের অনুরোধে  ১৪ দিন কাগজে ছাপানো কজলিস্টের মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে আরও এক দফা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। সে অনুসারে রোববার থেকে কাগজের  কজলিস্ট উঠিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে অনলাইনের পাশাপাশি কাগজেও মামলার কার্যতালিকা (কজলিস্ট) প্রকাশ করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।

রোববার বেলা ১টায় সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচিতে অংশ নেন বার কাউন্সিলের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, এ বি এম রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা, গোলাম মোহাম্মাদ চৌধুরী আলাল, শফিকুর রহমান কাজল, মাসুদ রানা, মোজাহিদুল ইসলাম, শেখ সাইফুজ্জামান, নাসরিন সিদ্দিকা লিনা প্রমুখ।  

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম জানান, কাগজের কজলিস্ট ছাপতে  প্রতিটি কজলিস্টের পেছনে ৪শ’ টাকা খরচ পড়ে। যার খরচ বছরে দাঁড়ায় ২১ কোটি টাকা। অথচ গ্রাহক চাঁদা বাবদ মাত্র ৬০ লাখ টাকা আসে।

প্রতিদিনের ছাপা কজলিস্টের কলেবর বহনযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব নয়। কারণ, প্রায় ৪শ’ পৃষ্ঠার এ কজলিস্ট ছাপাতে প্রতিদিন ৬৫টি গাছ কাটতে হয়। তাই পুরোপুরি অনলাইনে যাওয়ার পর এখন এ গাছও রক্ষা পাবে।    
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।