ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

খাদ্যে সনদ নিতে ১৭ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া কষ্টকর: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
খাদ্যে সনদ নিতে ১৭ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া কষ্টকর: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: দেশে খাদ্যের সনদ নিতে ১৭টি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সনদ নিতে হয়। যা কষ্টকর বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তবে, জনগণের জন্য খাদ্য বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ; তাই এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক হতে হয়। তাই কোম্পানিগুলোকে সরকারের সঙ্গে কোলাবরেশনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (১২ মার্চ) ‘লিভারেজিং গ্রোয়িং মিডল অ্যান্ড অ্যাফুলেন্ট ক্লাস ফর এ ভাইব্রেন্ট কনজ্যুমার গুডস সেক্টর’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী।

সেমিনারে দেশের উন্নয়নে প্রাইভেট সেক্টরগুলোকে আরও বেশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমি প্রাইভেট সেক্টরকে অনুরোধ করবো সরকারের সঙ্গে আরও বেশি কোলাবরেশন বাড়াতে। নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসতে।

এ সময় রেস্টুরেন্টে অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধির প্রশ্নে খাদ্যে সনদ নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে উত্তর দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে খাদ্যের সনদ নিতে গেলে ১৭টি কর্তৃপক্ষের পারমিশন বা সনদ নেওয়া লাগে। যা অনেক কষ্টকর, আর এটা আমিও মনে করি। কিন্তু খাদ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়; তাই এখানে অনেক বেশি সতর্ক থাকা লাগে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ইতোমধ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স খাতে ডিসিপ্লিন এসেছে। ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে কাজ করছে দেশ। এ বিনিয়োগে আমাদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

সেমিনারের সমাপনী বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের দেশে ইলেক্ট্রিক ও ইলেকট্রনিকসের একটা শিল্প গড়ে উঠেছে। যাদের উচ্চমাত্রার শুল্ক দিতে হচ্ছে। ২০২৬ সালের পর শুল্ক কমিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আইন অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে সংস্থাটি আমাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।

অনুষ্ঠানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি মো. সায়ফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এমন পণ্য তৈরি করতে হবে যেন অন্যান্য দেশ তা খোঁজে ও ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাবেদ আখতার বলেন, আমরা শুধু শহর এলাকায় মনোযোগ দিচ্ছি। কিন্তু দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ গ্রামীণ জীবনযাপন করে। আমরা সেখানে মনোযোগ দিচ্ছি না। আমাদের উচিত শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের ক্রেতাদের গুরুত্ব দেওয়া।

এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি নাসিম মনজুর বলেন, আমরা চামড়া খাতে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। অনেক কোলাবরেশন করেছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবরেট করেছি। তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) যেভাবে এগিয়েছে, যদি তা না হতো আমরা এ জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না। গবেষণায় কোনো ট্যাক্স ইনসেন্টিভ নাই, তাই এটাই উপযুক্ত সময় আরও বেশি গবেষণার মাধ্যমে আমরা খাতগুলোকে এগিয়ে নিতে পারি।

বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন সোসাইটির চেয়ারম্যান নকিব খান বলেন, ফুড সাপ্লাই চেইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কৃষকরা তাদের ন্যায্য পায় না। সামনে মেগা প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, ফুড সেফটি অনেক ক্রুশিয়াল, এই এরিয়ায় আমাদের অনেক গুরুত্বে দিতে হবে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেদায়েত অনুর উযদেন। নিজ বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে। বিভিন্ন খাতে অনেক উন্নতি করেছে। এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ব্যবসার খাত তৈরিতে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত এ সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ম্যারিকো বাংলাদেশের এমডি রজত দিবাকর, সিঙ্গার বাংলাদেশের এমডি ও সিইও এম এইচ এম ফাইরুজ প্রমুখ।

এর আগে শনিবার (১১ মার্চ) সকাল ১০টায় বিআইসিসি’তে তিন দিনব্যাপী বিজনেস সামিট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইদিন সামিটের অন্যতম আকর্ষণ ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো’ও উদ্বোধন করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
এমকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।