ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

রংপুরসহ ৫ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
রংপুরসহ ৫ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে

ঢাকা: দেশের অভ্যন্তরে ও ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজগুলোতে ভারী বর্ষণের কারণে রংপুরসহ দেশের পাঁচটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এমন তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, দেশের সব প্রধান নদ-নদীগুলোর পানির সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টির (২৮১ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা কমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানির সমতল বাড়াতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন কমতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার তিস্তা নদীর পানির সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং জেলাগুলোর সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চল এবং কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পরবর্তী দুই দিনে তিস্তা নদীর পানির সমতল কমে বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হতে পারে। অপরদিকে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীগুলো— আপার করতোয়া, আপার আত্রাই, টাঙ্গন, পুণর্ভবা, ইছামতি-যমুনা, ঘাঘট ও যমুনেশ্বরী নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের এসব নদীগুলোর পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন নদীগুলোর পানির সমতল কমতে পারে।

এছাড়া রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী একদিন ব্ৰহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী চার দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানির সমতল ধীরগতিতে কমতে পারে, পরবর্তী এক দিন পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে, বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

রাজশাহী বিভাগের করতোয়া, আত্রাই, বাঙ্গালী ও ছোট যমুনা নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে মহানন্দা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের এই সকল নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পরবর্তী এক দিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী এক দিন নদীর পানির সমতল কমতে পারে।

এদিকে সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৩ দিন নদীগুলোর পানির সমতল বাড়াতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ— মনু খোয়াই, ধলাই, ভুগাই ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে সারিগোয়াইন ও কংস নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১ দিন এসব নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং পরবর্তী ২ দিন নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, মাতামুহুরী, গোমতী নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে সাঙ্গু নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এসব নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ২ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টির (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, গোমতী ও ফেনী নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। হালদা, মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীসমূহের পানির সমতলও স্থিতিশীল থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।