ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

তীব্র শীতে কাঁপছে সৈয়দপুর, ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৪
তীব্র শীতে কাঁপছে সৈয়দপুর, ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা

নীলফামারী: ঘন কুয়াশা, হিমেল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে কাঁপছে সৈয়দপুরসহ উত্তরের জেলা নীলফামারী। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন।

রাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছে শিশির। পাঁচদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে বিভিন্ন অঞ্চল। দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন এ তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, উত্তরের হিমেল হাওয়ায়ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এমন তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। সৈয়দপুরের আকাশে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় প্রতিদিনই সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামায় বিঘ্ন ঘটছে।

এদিকে রাত ও দিনে তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে প্রচণ্ড শীতে কাজে বের হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা ও আলু ক্ষেত। এতে দিশেহারা হয়ে। পড়েছেন কৃষকরা। এখানে গবাদিপশুরাও ঠাণ্ডায় কষ্ট পাচ্ছে। এ প্রাণীগুলো শীতজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাতভর পড়া কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথগুলো। গাছের পাতা, ফসলের ক্ষেত আর ঘাসের ওপর থেকে টপটপ করে পড়ছে শিশির বিন্দু। কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কাজের সন্ধানে ছুটছে কর্মজীবী মানুষরা। তবে শহরে অন্যান্য সময়ের চেয়ে লোক সমাগম কম। এমনকি রেল লাইনের ধারে পুরাতন গরম কাপড়ের বাজারেও
ক্রেতার উপস্থিতি নাই।

সৈয়দপুর শহরের তামান্না সিনেমা হল মোড় এলাকায় কথা হয় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না। আগে দিনে ৮শ থেকে হাজার, ১২শ টাকা আয় হত। গত কয়েকদিন ধরে সারা দিনেও অর্ধেক টাকা আয় হয় না। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে, একদিকে আয় কম, অন্যদিকে বাজারের সব জিনিসের দাম বেশি।  

আরমান আলী নামে আরেক ইজিবাইক চালক বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। লাইট জ্বালে গাড়ি চালাচ্ছি। বিকাল ৪টার পর ঘন কুয়াশা শুরু হয়। সন্ধ্যা হইলে হেডলাইট জ্বালেও কিছুই দেখা যায় না।

এদিকে ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।  

চিকিৎসকরা জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।