মা-১১ শহরের বাড়িগুলো খুব পাশাপাশি অথচ ভেতরের মানুষগুলো অনেক দূরে দূরে বসবাস করে আমার মা তাই কোনোদিন শহরের অধিবাসী হতে পারেনি সে

অভ্যুদয় আমার একটা ব্যক্তিগত নদী থেকে বয়ে গেছে জল সেটা কার কাছে খুঁজে পাচ্ছি না! নদীর পাড়ে ভাঙন ছিলো তুর্কিনাচন, দূরে লম্বা-বুনো

যা তুমি সরাতে চাইছো সরাতে চেয়েছিলে পাথর। সরাতে চেয়েছিলে নদী। অথচ কী তাজ্জব— দেখো, সরে যাচ্ছে মধ্যরাতের দেয়াল। যে ছায়া কাছে আসছে-

অনুভূতি সৈকতে, সূর্যস্নানে...  হাঁটু অবধি ফেনা তোলা জল  লুকোচুরি খেলে... অকস্মাৎ  চোরাবালি মুখ তোলে,  একটু একটু করে দেবে

সিল্কের ছাড়পত্র এসো- তবে পান করে সুরভিত কফি সুমাত্রার, জড়ো করি মানচিত্র আর টিকিট প্রস্তুতি নেই টেরাকোটা সিপাহীর দেশে সাহসী

ঝিনুক কুড়োনো শেষে বালিয়াড়ি হয়ে যায় স্মৃতি ঋতুর বয়স আসে ঋতু আসে ঋতু যায় কখনো সেসব স্মৃতি ধূলোয় উড়িয়ে দেয় কামিনের মেয়ে খোঁপায় কামিনী

অংক বৃত্ত মেলানো পৃথিবীর স্বভাব আমি তোমার বৃত্তে ঘুরপাক খাই অংক মেলাতে পারি না তুমি যদি সংখ্যা তোমার নামের পাশে ইচ্ছামতো শূন্য

হাঁটু মুড়ি দিয়ে খেয়াঘাটে বসে আছে মঈন মাঝি তাকে দেখে আমার মাঝি হওয়ার সাধ উথলে উঠলো! এসব আমার প্রথম জন্মের কথা এজম্মে আমার মাঝি হতে

তদন্ত কোনো নিঃশ্বাস যাতে পিছলে পড়ে ব্যথা না পায়  তার জন্য দরকার একটা শনশনা মাঠ হাতপাখার পরিবর্তে  ফ্যানের জন্য প্রয়োজন পড়ে

বৈশাখের লালপাখি ধূলিধূসরিত দিন, দিগ্বিদিক ছুটছে মানুষ... সহস্র কৃষ্ণচূড়া আর প্রলম্বিত খরার প্রাচীর পেরিয়ে একবার আমরাও গিয়েছিলাম

এপ্রিল তথা বসন্ত মাস নিয়ে বিশ্ববিখ্যাত কবিদের উচ্ছ্বাস সর্বজনবিদিত। ঋতুপরিক্রমায় বাংলাদেশে এইসময় বসন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে উপনীত

অরাজনৈতিক আমি অপরাধী, নগরকর্তা, সিংহদরজা খুলে বের করে দিন এই নগরের বাইরে কোথাও, নয় কারাগারে রাখুন অন্তরীণ। এতোটা সাহস হয়েছে

মানুষ জন্মের আগে নীলকণ্ঠফুল কোত্থেকে যে আসে আর কালিবাড়ির ভাঙা মন্দিরের শূন্য সিঁড়িতে অচৈতন্য পাগলিটার ঝুরো চুল বাতাসে ওড়ে। এই

প্রহরী সারারাত নক্ষত্রের দিকে গুলি তাক করে ঘুমিয়েছি আর যেন পতনের ঘোরে ঝরে না পড়ে এ সীমান্ত আমার তুমি কেন পয়সার ভেতর, ইলিশের পিঠে

হৃথিবী রথের যাত্রী- ৪০ তোমার লালচোখ কতপথ ঘুরে এসে এই আমার কাছে বাসা নিলে। অঙ্গার এখন আমি- অজস্র চাপে, তাপে আর অনন্ত বিস্ময়ের মহানন্ত

ইসরাফিল এতটা খ্যাতি আমাকে দিয়েছে কিছু প্রশিক্ষিত শ্বেত কবুতর উদ্ধত সম্রাটসুলভ ভঙ্গিতে হেঁটে চলার বদলে যখন তারা উড্ডীন-সমূহ

তুই কি হবি বুকের ভাটায় বিরহে পোড়া মাটি!তুই কি হবি সবুজ ছায়ায় শান্ত শীতলপাটি! তুই কি হবি আমার চোখে মেঘের অশ্রকণা!তুই কি হবি বিষের ছোবল