ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

অতিমূল্যায়িত বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়: গোলাম মোয়াজ্জেম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২১
অতিমূল্যায়িত বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়: গোলাম মোয়াজ্জেম

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটকে বাস্তবতার বেশ কিছুটা বাইরে অতিমূল্যায়িত করা হয়েছে, যা আসলে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

বৃহস্পতিবার (০৩জুন) প্রস্তাবিত বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ অভিমত তুলে ধরেন।

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে প্রস্তাবিত বাজেটটি মনে হয়েছে অতিমূল্যায়িত একটি বাজেট কাঠামো। যা আসলে বস্তবতা থেকে বেশ কিছুটা বাইরে। এটা আসলে একটি দুর্বল অনুমিতি। আর বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ বছরের যে সীমাবদ্ধতা সেগুলো থাকার ফলে অতিমূল্যায়িত বাজেট আসলে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে যৌক্তিকভাবে যে খাতগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া দরকার সেখানে গুরুত্ব দেওয়া আছে। তবে খাতভিত্তিক যে উদ্যোগগুলো দরকার সেখানে উদ্ভাবনী বিষয় সেরকম অর্থে নেই। বরং গতানুগতিক যে প্রকল্পগুলো রয়েছে সেগুলো দিয়েই এ লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা আছে বাজেটে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ধরনের গতানুগতিক বাজেট দিয়ে কতটুকু লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।  

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নিরাপত্তা খাতসহ যারা কাজ হারিয়েছে, পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য যে বিশেষ গুরুত্ব দরকার সে বিবেচনা নিলে এবারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেটা আসলে অপর্যাপ্ত। এখাতে আরও বহুলাংশে বৃদ্ধি করা দরকার ছিল।

এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, বাজেটে মেগা প্রকল্পগুলোতে এ বছর এত বরাদ্দ না দিলেও হতো। এসব খাতে বরাদ্দ কমিয়ে বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন ছিল, সেটা হয়নি। সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগে আকর্ষণ করেছে। এটা যৌক্তিক হলেও উদ্যোগক্তাদের হাতে অর্থ থাকলে তো বিনিয়োগ হবে। এজন্য আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি কম দেখা গেছে। এজন্য সরকারকে এখন দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের দিকে যেতে হবে। কিন্তু বাজেটে সেরকম কোন উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকার বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা রেখেছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। কারণ সরকার বলছে, ৫ কোটি থেকে ১১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনবে। সেজন্য আরও বেশি অর্থবরাদ্দ রাখা প্রয়োজন ছিল। তবে যদি সরকার দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকল্পনা করে থাকে তাহলে যথেষ্ট। কিন্তু আমদানি করার প্রয়োজন হলে আরো বেশি অর্থ বরাদ্দ দরকার। আমাদের কাছে মনে হয়েছে অর্থের সীমাবদ্ধতার কারণে রাখতে পারেনি। কিন্তু এমন অনেক প্রকল্প ছিল যেখান থেকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খাতে অর্থ আনা যেত। মোট কথা সামগ্রিকভাবে, সরকারের অতিমূল্যায়িত বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।