ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাস

ঢাকা: জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। এবারের বাজেটের স্লোগান ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যত পথ পরিক্রমা’। নিদিষ্টকরণ বিল-২০২০ পাসের মাধ্যমে এ বাজেট পাস হয়।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) বেলা ১১ টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করে মন্ত্রীরা। মঞ্জুরি দাবিগুলো সংসদে সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরমধ্যে আইন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দু’টি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা।

এর পর টেবিল চাপড়িয়ে সংসদ সদস্যরা নিদিষ্টকরণ বিল ২০২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেন।

এর আগে ১১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বাজটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কর ব্যতীত আয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব বোর্ড ছাড়াও কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশের সমান। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৩৫ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা বেশি। ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ৭৬ হাজার ৪ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতের সহায়তা ধরা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় দুইলাখ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ঘাটতির চেয়ে ৩৬ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোট ব্যয়ের দুই তৃতীয়াংশই ধরা হয়েছে অনুন্নয়ন ব্যয় বা সরকারী কর্মচারীদের বেতন ভাতায়। যার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় খরচ হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিশোধে ব্যয় হবে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি  টাকা ও বৈদেশিক ঋণের সুদে ৫ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। ঋণ পরিশোধেও ব্যয় বাড়বে ৬ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ব্যয় করা হবে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এডিপি বর্হিভুত প্রকল্পের উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭২২ কোটি ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে যাবে ২ হাজার ৬শ ৫৪ কোটি টাকা। অন্যান্য উন্নয়নখাতের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬ শ ২৪ কোটি টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এসই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।