ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

তবুও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
তবুও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ

ঢাকা: কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বেশি দিন থাকবে না। দেশ স্বাভাবিক হলে আবারও বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।

জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মহামারি করোনা ভাইরাস সংকটময় পরিস্থিতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তায় রেখে এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন বক্তব্য শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশক ধরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ক্রমাগত হারে বেড়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমকি ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যা এশিয়ার সব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। আমাদের প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি ছিল শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা। কিন্তু কোভিড-১৯ এর ফলে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘসময় ধরে চলা লকডাউনের কারণে রফতানি কমায় এবং প্রবাস আয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত না হওয়ায় চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে করোনা পরবর্তী উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি সরকার ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করলেও বিশ্ব ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করলেও বিশ্ব ব্যাংক বলছে, করোনার কারণে নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ শতাংশ। গত ৮ জুন বিশ্ব ব্যাংক তাদের এক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এসব জানিয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থান ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছিল। ২০০০-০১ অর্থবছর থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছর সময়কালে গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে গড় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। চূড়ান্ত হিসাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ হয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।

মাঝে কিছুটা সময় প্রবৃদ্ধি অর্জিত কম হয়েছে। তবে ২০০০-০১ সাল থেকে প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের ওপর অর্জিত হয়েছে। এরপর দীর্ঘ ৩০ বছর পরে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এছাড়া ২০১০-১১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭১,  ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। বর্তমান সরকারের আমলে প্রবৃদ্ধির রেকর্ড গড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ হয়। এই প্রবৃদ্ধির চলতি মূল্য ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৮২ কোটি ডলার। একই সময়ে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরেও প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৮ শতাংশের ওপরে। অথচ কোভিড-১৯ দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
এমআইএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।