ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে বাজেটব্যয় এক-চতুর্থাংশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৮
নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে বাজেটব্যয় এক-চতুর্থাংশ

ঢাকা: সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ প্রস্তাব করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।

যা মোট বাজেটের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি।

তিনি বলেন, সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রান্তিক ও অসহায় কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জেন্ডার বেজ্‌ড ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সক্ষম করার জন্য ৬৪টি জেলার ৪৮৯টি উপজেলায় ৫ হাজার ২৯২টি ক্লাবের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা এবং সহিংসতা রোধকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া ৬৪টি জেলার ৪৯০টি উপজেলায় ১ কোটি গ্রামীণ সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার ও তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নারীদের প্রশিক্ষণ, কর্মপরিবেশ ও অন্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নারীদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ঘূর্ণায়মান আকারে ৬৪টি জেলার ৪৮৮টি উপজেলায় মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থায়িত ২৫টি কর্মসূচির মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।  

অর্থনেতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অবদান প্রসঙ্গে এসময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টায় বিগত এক দশকে নারী শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ এখনও যথেষ্ট নয়। প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ২০০৯ সালে ছিল ৫৪.৩ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা ৬৯.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ ২০১০ সালের পরে তেমন বাড়েনি; ২০১০ সালের ৩৬.০ শতাংশের তুলনায় সাত বছরে বেড়েছে নগণ্য ০.৩ শতাংশ; গ্রামাঞ্চলে অংশগ্রহণের হার বাড়লেও শহরাঞ্চলে অংশগ্রহণের হার কিছুটা কমেছে।  

‘যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং আবাসন, সন্তানদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র, নারী-বান্ধব গণপরিবহন ইত্যাদি সুবিধার মাধ্যমে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর উৎপাদন সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যবহার করতে আমরা বদ্ধপরিকর। গণপরিবহনে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট হারে আসন সংরক্ষণ ২০২০ সালে কার্যকর করার জন্য এবারে এক বছর সময় দেওয়া হচ্ছে। ’

বাজেটে নারীর হিস্যা তুলে ধরে ২০০৯-১০ অর্থবছর হতে প্রতিবছর জেন্ডার বাজেট প্রকাশ করা হচ্ছে। দশ বছর ধরে পরিচালিত জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন উদ্যোগকে মূল্যায়নের লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য এবার একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারা এ উদ্যোগের বিশ্লেষণ করে একে উন্নীত করা অথবা নতুন ধাঁচে সংস্কার করার উদ্দেশ্যে সুপারিশ দেবেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।