ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাজেট

বাজেটে সার্বজনীন পেনশন চালুর প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৮
বাজেটে সার্বজনীন পেনশন চালুর প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর বাজেট চিত্র

ঢাকা: বিদ্যমান সরকারি পেনশন কার্যক্রমের বাইরে বেসরকারি পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত কর্মজীবীদের জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।  

অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, প্রস্তাবিত ব্যবস্থার আওতায় সরকার পরিচালিত স্কিমে নিবন্ধন করে একজন কর্মজীবী মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা জমা করবে।

প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষও একটা নির্দিষ্ট অঙ্ক সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীর পেনশন হিসেবে জমা করবে।  

‘হতদরিদ্র শ্রমজীবীদের ক্ষেত্রে তাদের অংশের অতিরিক্ত হিসেবে সরকার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ওই হিসাবে জমা করবে। এ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গঠিত তহবিল বিনিয়োগ হতে প্রাপ্ত আয় সার্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা হতে থাকবে। ক্রমপঞ্জিভুত চাঁদা ও আয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অবসরকালে মাসিক পেনশন প্রাপ্ত হবেন। ’

তবে সার্বজনীন এ পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য মৌলিক কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন হবে, যা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারী ও জনগণের মধ্যে সুযোগের ন্যায্যতা ও সামঞ্জস্য বিধান করার জন্য উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনা, ধারাবাহিক কৌশলগত পরিবর্তন, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সৃজন, কারিগরি সক্ষমতা ও যথাযথ নীতি-কৌশল প্রণয়ন করা প্রয়োজন।  

‘সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত সকল কর্মজীবী মানুষের জন্য একটি টেকসই সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের কাজ এ অর্থবছরেই শুরু করার আশা রাখি। অন্ততঃপক্ষে কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় পরীক্ষামূলক উদ্যোগ হিসেবে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার ইচ্ছা আছে। ’

প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২২ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগে এক হাজার ৪৭ কোটি টাকাসহ সর্বমোট ২৬ হাজার ৪৬ কোটি টাকা পেনশন ও গ্র্যাচুইটি ধরা হয়েছে। বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২২ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মৃত্যুর পর তাদের বিধবা স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী সন্তানকে আজীবন এবং বিপত্নীক স্বামীকে সর্বাধিক ১৫ (পনের) বছর মাসিক চিকিৎসা ভাতা ও বছরে ২টি উৎসব ভাতা প্রদানের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। পেনশনারদের হয়রানি লাঘবের জন্য পেনশন প্রদান প্রক্রিয়াও সহজ করা হচ্ছে।  

‘এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ও ভবিষ্য তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পৃথক পেনশন অফিস স্থাপন করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় কাজ করবে। ফলে পেনশন প্রাপ্তদের ভোগান্তি স্থায়ীভাবে দূর হবে,’ যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।