ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

বাজেটে তামাকবিরোধী একগুচ্ছ প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৮
বাজেটে তামাকবিরোধী একগুচ্ছ প্রস্তাব প্রাক-বাজেট আলোচনায় অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন বাজেটে সকল প্রকার তামাক পণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ, সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা দুইটিতে (নিম্ন এবং উচ্চ) নামিয়ে আনা ও ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার বিভাজন বাতিল করে প্রতি ২৫ শলাকা বিড়ির সর্বনিম্ন মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছে তামাকবিরোধী সম্মিলিত জোট।

বৃহস্পতিবার (০৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ‘কেমন তামাক কর চাই’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব করা হয়।

প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মা’র উদ্যোগে তামাকবিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি), ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন (ইপসা) এবং তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এ আলোচনার আয়োজন করে।


 
এতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভাজন তুলে দেওয়া এবং উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরকে একত্রিত করে একটি মূল্যস্তরে (উচ্চস্তর) নিয়ে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া ১০ শলাকা সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং উচ্চস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; সকল ক্ষেত্রে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটে পাঁচ টাকা সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়।
 
এসময় বিড়ির ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার বিভাজন বাতিল করা; প্রতি ২৫ শলাকা বিড়ির সর্বনিম্ন মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫% সম্পূরক শুল্ক এবং ছয় টাকা সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা; এক্স-ফ্যাক্টরি প্রাইস প্রথা বিলুপ্ত করে সিগারেট ও বিড়ির ন্যায় খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ করা; প্রতি ২০ গ্রাম ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের সর্বনিম্ন মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫% সম্পূরক শুল্ক এবং ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা; সকল তামাক পণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য থাকবে বলে জানান বক্তারা।

এসব প্রস্তাবসমূহ গ্রহণ করা হলে প্রায় ৬.৪২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী (৩.০৭ মিলিয়ন সিগারেট ধূমপায়ী এবং ৩.৩৫ মিলিয়ন বিড়ি ধূমপায়ী) ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবেন। ফলে সিগারেটের ব্যবহার ২.৭ শতাংশ এবং বিড়ির ব্যবহার ২.৯ শতাংশ হ্রাস পাবে। দীর্ঘমেয়াদে ২.০১ মিলিয়ন বর্তমান ধূমপায়ীর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে (১.০৮ মিলিয়ন সিগারেট ধূমপায়ী এবং ০.৯৪ মিলিয়ন বিড়ি ধূমপায়ী) এবং ৭৫ থেকে ১০০ বিলিয়ন টাকা (অথবা জিডিপি’র ০.৪ শতাংশ) অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে।
 
এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, আত্মা’র কনভেনর শফিকুল ইসলাম, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস কান্ট্রি অ্যাডভাইজার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমান ভুঁঞা, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) গ্রান্টস ম্যানেজার অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, দি ইউনিয়নের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৮
এসই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।