২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিশু কেন্দ্রিক বাজেট ৪৬ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার কোটি টাকা। নির্বাচিত ১৩টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
শিশু কেন্দ্রিক বাজেটের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৪ শতাংশ। সরকারের মোট বাজেটে শিশু কেন্দ্রিক বাজেটের হিস্যা কিছুটা কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে শিশু কেন্দ্রিক বাজেট ছিলো মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের মোট বাজেটে শিশু কেন্দ্রিক বাজেট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
মোট বাজেটে শিশু কেন্দ্রিক বাজেট কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে প্রস্তাবিত বাজেটে উল্লেখ করা হয় যে, বিদ্যুৎ ও ভৌত অবকাঠামোগতর মতো বিভিন্ন বিষয়ে বরাদ্দ বরানোর কারণেই মোট বাজেটে শিশু কেন্দ্রিক বাজেট কিছুটা কমেছে। তবে উৎসাহব্যঞ্জক বিষয়টি হলো যে জিডিপির অনুপাতে শিশু কেন্দ্রিক কার্যক্রম বাজেটে গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
নতুন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এবারের বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। ‘সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ স্লোগানের এ বাজেট দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে অর্থমন্ত্রী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। এটি মুহিতের একাদশ বাজেট। সংসদ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে, সকাল ১০টায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৮তম এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪৬তম। এবারের বাজেটকে অর্থমন্ত্রী তার ‘বেস্ট বাজেট’হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছেন।
দেশের ইতিহাসে ১৯৭২ সালে তাজউদ্দিন আহমেদ প্রথম ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। এ হিসাবে সাড়ে চার দশকে বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের ফর্দ বাড়ছে ৫০০ গুণের বেশি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সামরিক থেকে গণতান্ত্রিক বিভিন্ন সরকারে ১৪ জন অর্থমন্ত্রী (অর্থ উপদেষ্টা অথবা সামরিক আইন প্রশাসক) ৪৫টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন এর আগে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
ইউএম/এসএইচ
