ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

কর নীতি নিয়ে আশঙ্কা ড. আকবর আলীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
কর নীতি নিয়ে আশঙ্কা ড. আকবর আলীর ছবি:রানা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাজেটের করনীতির কারণে কর গ্রহীতা ও করদাতাদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান।

মঙ্গলবার ( ২১ জুন) দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭  সংশ্লিষ্ট এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ড. আকবর আলী খান বলেন, বাজেটের কর প্রস্তাব বাংলাদেশের কোনো চেম্বার অব কমার্স মেনে নেয়নি।   এই কর প্রস্তাব বলবৎ থাকলে কর গ্রহীতা ও কর দাতাদের মাঝে সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি হবে। পরিস্থিতি অশান্ত হলে তার প্রভাব পড়বে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। তাছাড়া সরকার কর আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে তা আদায় করাও কতোটা সম্ভব হবে তা ভেবে দেখার বিষয় আছে।   শুধু উচ্চাভিলাষী বাজেট হলেই চলবে না, তা বাস্তবসম্মত হতে হবে। নয়তো কখনোই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। অন্যান্য দেশে বাজেট প্রণয়নের আগে সংসদের স্থায়ী কমিটি তা নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু আমাদের দেশে এমনটা হয় না। কর নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।

অন্যদিকে কৃষিতে বাজেট বরাদ্দ কমানোর সময় এখনো আসেনি বলে জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম।

তিনি বলেন,  ২০১৬-১৭ এর প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। কিন্তু আমার এখনো মনে হয় না বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ কমানোর সময় এসেছে। এই খাতের উন্নয়নে বরং বরাদ্দ বাড়ানো উচিত ছিলো। বাজেটে শেয়ার বাজারের বিষয়ে তেমন কিছু বলা নেই। যার প্রভাব পড়ছে বাজারের ওপর। পরোক্ষ করের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরোক্ষ কর দিয়ে সমতা ভিত্তিক বাজেট করা সম্ভব না। তবে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ব্র্যাক এর গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল বায়েস বলেন, ‘ভিশন ২০২১’  ও ‘এসডিজি’ বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবতার নিরিখে বাজেটের বর্তমান আকার অপ্রতুল। দেশের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির বাৎসরিক গড় হার  ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ এবং সদ্য সমাপ্ত বছরে এই চিত্র মলিনতর ছিলো। আয়-ব্যয় হিসাব শেষে ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গেল ১১ মাসের এডিপির ৬২ শতাংশ বাস্তবায়নের সংবাদ নিঃসন্দেহে হতাশাজনক।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
ইউএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।