ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমতা প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রযাত্রার বাজেট

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৬
প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমতা প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রযাত্রার বাজেট

সংসদ ভবন থেকে: ‘প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা অষ্টম বাজেট এটি।

 

অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিতও টানা অষ্টম এবং ব্যক্তিগত দশমবারের মতো বাজেট উত্থাপনের রেকর্ড করলেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার অষ্টম বাজেট। এর আগে এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেন তিনি।
 
বৃহস্পতিবার (০২  জুন) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে স্পিকার ড.  শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।
বাজেট পেশের শুরুতেই স্পিকারের অনুমতি নিয়ে দেশের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  

এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সংসদে উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 

কালো ব্রিফকেস হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে সংসদে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী। টিয়া-ধূসর রঙের সিল্ক পাঞ্জাবির ওপর মুজিব কোট পরিহিত ছিলেন  তিনি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাজেট বক্তৃতার সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদসহ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
১১৮ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতা কখনো বসে কখনো দাঁড়িয়ে পড়েন অর্থমন্ত্রী। তার টেবিলের দুই পাশে পানি ও চা-কফির ফ্ল্যাক্স ছিল।  

৮৩ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতাকালে অনেকটাই প্রাণবন্ত ছিলেন। অফুরন্ত  প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা ক্রমবর্ধিষ্ণু যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে এক আলোকোজ্জ্বল আগামীর পথে - এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
 
তিনি বলেন, ‘জাতির জনকের হাত ধরেই এদেশের মানুষ পেয়েছে স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক মুক্তির স্বাদ। আবার তার হাতেই রচিত হয়েছিল দেশের অগ্রগতির প্রাথমিক ভিত্তি। এ অগ্রযাত্রা বিভিন্ন সময়ে নানা ঘাত- প্রতিঘাতে বাধাগ্রস্থ হলেও তার সুযোগ্য কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি আজ এক সুদৃঢ় অবস্থানে পৌঁছেছে। আমরা পদাপর্ণ করেছি সমৃদ্ধির সোপানে’।
 
‘আমি মনে করি, সমৃদ্ধির আরও উচ্চতর সোপানে পৌঁছাতে হলে আমরা যেসব কর্মসূচি জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে হাতে নিয়েছি , তা জোরদারের পাশাপাশি একটি সমন্বিত ও ব্যাপকভিত্তিক কর্মযজ্ঞ শুরুর এখনই উপযুক্ত সময়’।
 
‘অফুরন্ত প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা ক্রমবর্ধিষ্ণু যুবশক্তিকে কাজে লাগানোর এক মাহেন্দ্রক্ষণ আমাদের দ্বারপ্রান্তে’ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, শত প্রতিকূলতার মাঝেও জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও অংশগ্রহণ, উদ্দীপ্ত যুবশক্তির গঠনমূলক কর্মোদ্যোগ ও এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে এগিয়ে যাবে এক আলোকোজ্জ্বল আগামীর পথে। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ বিশ্বসভায় পরিচিতি লাভ করবে একটি সমৃদ্ধ, আধুনিক ও কল্যাণ রাষ্ট্রের অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে’।
 
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। এটি দেশের ৪৫তম বাজেট। গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) বাজেটের আকার ছিল দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
 
পুরো বাজেট বক্তৃতাকালে অর্থমন্ত্রী ছিলেন অনেকটাই হাস্যোজ্জ্বল।
 
বাজেট অধিবেশন প্রত্যক্ষ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, তিন বাহিনীর প্রধান,  প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, তৌফিক-ই ইলাহী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে করিম এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৬
এসকে/এসএম/এসএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।