ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাজেট

বাজেটে নারী- শিশু উন্নয়ন খাত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৫
বাজেটে নারী- শিশু উন্নয়ন খাত

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এবারের বাজেটে বাল্য-বিবাহ রোধ করে নারীদের শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সৌদিআরবে যে নারীদের গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানো হবে, তাদের নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।



বৃহস্পতিবার(৪ জুন’২০১৫)জাতীয় সংসদে দেওয়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অসহায়-অবহেলিত-প্রতিবন্ধী নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি। উপযুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরি, নারী শিক্ষা, নারীর জন্য আবাসন, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন।

কোটা ব্যবস্থা চালু রাখারও আগ্রহের কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নারীদের দক্ষতা বাড়াতে নানা কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নারীদের বাণিজ্যিকভাবে পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের জন্য জয়িতা ফাউন্ডেশন কাজ করছে। এবছর এই কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করা হবে।
 
এছাড়াও নারীদের ড্রাইভিং, ক্যাটারিং প্রশিক্ষণসহ আইসিটি সেক্টরেও কাজের সুযোগ তৈরি করা হবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, গরীব, দুঃস্থ ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য ৫৩টি উপজেলায় মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। আরও ২০টি উপজেলায় এ কর্মসূচি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া ১৩২টি উপজেলায় জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

দেশের উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণকে যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তেমনি নারীদের আয়ের কর দিতেও দেখানো হয়েছে কিছুটা নমনীয়তা। বর্তমানে কর সীমা ২ লাখ ৭৫হাজার টাকা। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে এই সীমা বাড়িয়ে তিন লাখ করার কথা বলা হয়েছে। যেখানে পুরুষের জন্য আয়কর দিতে হবে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা হলেই।

প্রথমবারের মতো শিশু বাজেট ভাবনা শীর্ষক বাজেট প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে।

শিশুদের চাহিদা পূরণ, অধিকার ও কল্যাণের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত কর্মসূচি উন্নয়ন প্রকল্প ও কার্যক্রমসমূহ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

শিশু বিকাশ কেন্দ্র পরিচালনার মাধ্যমে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখা হচ্ছে। শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি। এতিম অসহায় পথ শিশুদের জন্য আশ্রয়, খাদ্য, বস্ত্র, স্বাস্থ্য-সেবা দান, ‍শিক্ষা-উপকরণ বিতরণ, খেলাধুলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।