ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

মেলায় বিন্দুর বিশেষ ‘উৎপলকুমার বসু’

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
মেলায় বিন্দুর বিশেষ ‘উৎপলকুমার বসু’

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলায় কবি সাম্য রাইয়ানের সম্পাদনায় লিটলম্যাগ বিন্দু থেকে বেরিয়েছে বহুল প্রতিক্ষীত বই ‘উৎপলকুমার বসু। ’

রাজীব দত্তের প্রচ্ছদে বইটি পাওয়া যাচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘাসফুলের ৫৪৮ নম্বর স্টলে।

এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে থাকছে বইটি।

সম্পাদক সাম্য রাইয়ান বলেন, উৎপলকুমার বসুর নির্বাচিত কবিতা, গল্প, অনুবাদ, চিঠি ও সাক্ষাৎকার রয়েছে বইটিতে। এছাড়া রয়েছে অর্ধশতাধিক প্রবন্ধ, যেখানে ব্যক্তি উৎপল ও তার লেখা প্রসঙ্গ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন কবি-লেখকের কলমে।

তিনি বলেন, উৎপলকুমার বসুর বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রতিবেদন, তাকে নিয়ে শঙ্খ ঘোষের দেওয়া সাক্ষাৎকার, সুবিমল বসাকের বক্তব্য, জীবনপঞ্জি ও গ্রন্থপঞ্জি রয়েছে বইটিতে। ফলে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা এই কবির অনুরাগীদের বইটি পড়তে ভালো লাগবে। সব মিলিয়ে খোঁজ মিলবে একজন পূর্ণাঙ্গ উৎপলকুমার বসুর।

১৯৩৯ সালের ০৩ আগস্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন উৎপলকুমার বসু। ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত ‘চৈত্রে রচিত কবিতা’ দিয়ে বাংলা কাব্যজগতে আবির্ভূত হন। বাংলা সাহিত্যে ‘স্থিতাবস্থা’ ভাঙার আওয়াজ তুলে ষাটের দশকের শুরুর দিকে যে হাংরি আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তার সঙ্গে ছিলেন তিনি।

তার বিখ্যাত কবিতার বই ‘পুরী সিরিজ’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। ‌ ২০১৪ সালে ‘পিয়া মন ভাবে’ বইয়ের জন্য তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান। আর ২০০৬ সালে ‘সুখ-দুঃখের সাথী’ বইয়ের জন্য পান আনন্দ পুরস্কার। এছাড়াও ‘বক্সিগঞ্জে পদ্মাপাড়ে’, ‘সলমা জরির কাজ’ প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য কবিতার বই।

২০১৫ সালের ০৩ অক্টোবর ৭৬ বছর বয়সে মারা যান উৎপলকুমার বসু।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।