ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

‘জলসায়রের পলি’ নিয়ে মেলায় মামুন খান 

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
‘জলসায়রের পলি’ নিয়ে মেলায় মামুন খান 

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে কবি মামুন খানের কবিতার বই ‘জলসায়রের পলি’।

বইটি মেলায় এনেছে প্রকাশনা সংস্থা- চৈতন্য। বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ।

এর দাম রাখা হয়েছে ১৬০ টাকা। মেলায় চৈতন্যের ২৫০-২৫১ নম্বর স্টলে মিলছে ‘জলসায়রের পলি’।  

দীর্ঘ বিরতি শেষে এবারের মেলায় বই প্রকাশ করেছেন মামুন খান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি বছর বা বছর দুয়েক পরপর বই করতে হবে এমন তাড়না আমার কখনোই ছিল না। গত সাত-আট বছরে কয়েকবার পাণ্ডুলিপি গুছিয়েও বই করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে গেছি। বন্ধু, স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেক তাগাদা শুনেছি আর মনে মনে ভেবেছি, আরেকটু সময় নেই। সদ্য লেখা কবিতার মুগ্ধতা দিন সাতেক পর যেমন টেকে না, তেমনি গত কয়েক মাসের প্রিয় কবিতাগুলোও বছর দুয়েক পর তেমন নাও টানতে পারে। আমার ক্ষেত্রে এমনটা বরাবরই ঘটে আসছে। অনেকটা সময় পার করার পর আত্মমুগ্ধতার জায়গায় যেগুলো উতরে যায়, সেগুলোই আমার কাছে আমার কবিতা। গত প্রায় এক দশক ধরে লেখা কবিতা থেকে বেছে বেছে এমনই কিছু পছন্দের কবিতা দিয়ে সাজিয়েছি আমার তৃতীয় কবিতার বই জলসায়রের পলি।  

এ বইয়ের উপজীব্য জানতে চাইলে মামুন খান বলেন, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের নিম্নভূমি নিয়ে যে ভাটি অঞ্চল গঠিত তা এক সময় জলসায়র পরগনা নামে পরিচিত ছিল। এই পরগনার রাজধানী ছিল বর্তমান খালিয়াজুড়ি। বাংলার অধিকাংশ লোককবি, মরমী সাধক এই অঞ্চল থেকে উঠে এসেছেন। পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির অন্যান্য শাখাতেও যাদের উজ্জ্বল অবদান আছে তাদের অধিকাংশই এ অঞ্চলের। এ অঞ্চলের মাটি শুধু শষ্যের জন্যই ঊর্বর তা নয়, মনন ও সৃজনশীলতার ক্ষেত্রেও রত্নপ্রসবা। আমি বিশ্বাস করি, আমার কাব্যচর্চার পেছনে এই অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ুর নিবিড় প্রভাব ও ভূমিকা রয়েছে। সে কারণেই আমার বইয়ের নাম- জলসায়রের পলি।

এর আগে মামুন খানের প্রকাশিত কবিতার বইগুলো হলো- জল ও জলপাই (২০০৮), বাইরে দুপুর ভিতরে ভৈরবী (২০১১) ও সম্মিলিত কবিতার বই- হট্টিটিগুছ (২০০০)। এ ছাড়া এ কবি যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন- শূন্যদশকের প্রেমের কবিতা।  

১৯৭৮ সালের ২৫ আগস্ট নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মামুন খান। শিক্ষাজীবনের শুরু এবং শৈশবের প্রথম অংশ কেটেছে এখানে। পড়াশোনা করেছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে। বর্তমানে বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বাংলাভিশনে জ্যেষ্ঠ প্র্রযোজক হিসেবে কর্মরত তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০ 
এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।