ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

রাজশাহীতে বইমেলায় বিক্রির শীর্ষে শিশুদের বই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
রাজশাহীতে বইমেলায় বিক্রির শীর্ষে শিশুদের বই

রাজশাহী: ছোট্ট শিশু রাসেল। বইমেলায় এসেছে বাবার হাত ধরে। এখনো স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি সে। ‘বুক পয়েন্ট’ স্টলে বেশ মনোযোগ সহকারে ‘আঁকা আঁকি’ বইটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল। কিনেও নিলো বইটি। রাসেলের মতোই রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বইমেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রতিদিনই সন্ধ্যায় শিশুরা আসছে বইমেলায়। বইমেলায় শিশুদের বই বিক্রি হচ্ছে বেশি। মেলায় কবিতা, ছড়া, গল্প ও কার্টুনসহ শিশুতোষ বইয়ের চাহিদা ব্যাপক।

মেলার স্টল ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেলায় শিশুদের বইয়ের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য বইয়ের তুলনায় শিশুদের বই বিক্রি হচ্ছে বেশি।

চাহিদা থাকায় স্টলগুলো শিশুদের বইকে প্রাধান্য দিয়ে বইয়ের পসরা সাজিয়েছে। বুক পয়েন্ট, অক্ষরবৃত্ত, ইকরিমিকরিসহ কয়েকটি স্টলের পুরোটাজুড়েই শিশুদের বই। মেলার শুরুর দিকে শিশুদের বই কম থাকলেও চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে পরে এসব বই এনেছে অধিকাংশ স্টল।

রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মা-বাবার সঙ্গে মেলায় এসেছে অনেক শিশু। তাদের অনেকই এখনো স্কুলে ভর্তি হয়নি। ওরা কখনো ছুটেছে কার্টুনের বই আবার কখনো ছবিসহ কবিতার বইগুলোর দোকানে।  

স্টলে স্টলে ঘুরে অভিভাবকরাও খোঁজ নিচ্ছেন শিশুদের জন্য কী বই এসেছে।  

জানতে চাইলে বুক পয়েন্ট স্টলের বিক্রেতা চন্দন বৈশ্য বলেন, বইয়ের প্রতি শিশুদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। শিশুরা রঙচঙে, ফুল, পাখি হাতি, ঘোড়া ইত্যাদি পছন্দ করে বেশি। তাদের দিকে খেয়াল রেখে আমরা বই এনেছি। অন্য বইয়ের তুলনায় শিশুদের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।

ইকরিমিকরি স্টলে কর্মরত আমান উল্লাহ বলেন, শিশুদের কবিতা, ছড়া, ছোট গল্প, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশনসহ শিশুতোষ বইয়ের ভালো সাড়া মিলছে। তবে ছড়া ও কার্টুনের বই বিক্রি হচ্ছে বেশি। শিশুদের উচ্ছ্বাস ‍দেখে মনে হচ্ছে বই পড়ার প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়েছে।  

এদিকে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় বইমেলা প্রাঙ্গণে। এতে বিভিন্ন স্কুলের শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করে। বিকেল ৫টায় মেলা প্রাঙ্গণের মঞ্চে শুরু হয় সংগীতা অনুষ্ঠান। রাজশাহী 'ধ্রুব সখা'র শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

পরে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন কামাল লোহানী। আদিবাসী কালচারাল একাডেমির শিল্পীরা আদিবাসী নৃত্য পরিবেশন করেন। এর পরপরই মনিপুরী নৃত্য পরিবেশিত হয়। শেষে জাতীয় শহীদ নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের জীবনের ওপরে নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়। একইসঙ্গে মেলার অংশ হিসেবে শুরু হয় বইমেলা।  

১০ দিনব্যাপী এ বইমেলা শেষ হবে আগামী ২৬ মার্চ। এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।