ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলা: সকালে শিশুদের, বিকেলে বড়দের পদচারণা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
বইমেলা: সকালে শিশুদের, বিকেলে বড়দের পদচারণা বইমেলায় শিশুপ্রহরে বই পড়ছে তিন শিশু/ছবি- ডি এইচ বাদল

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: বাংলা সাহিত্যপ্রেমীদের প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা এরইমধ্যে পার করছে অর্ধেক সময়। শিশুরা প্রতিদিন মেলায় এলেও নির্বিঘ্নে বই কেনার সুযোগ করে দিতে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার শুধুই তাদের জন্য ‘শিশুপ্রহর’ রেখেছে বাংলা একাডেমি।

শনিবারও (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার ব্যতিক্রম হয়নি। বেলা ১১টায় গ্রন্থমেলার প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত হতেই অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুরা পছন্দের বইয়ের খোঁজে মেলায় প্রবেশ করে।

শিশু চত্বরের স্টলের পাশাপাশি অন্যান্য প্রকাশনীগুলো থেকেও বই সংগ্রহ করে তারা।  

এদিন শিক্ষকদের সঙ্গে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও মেলায় এসেছে। রাজধানীর উদয়ন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাইহান বাংলানিউজকে বলেন, অন্য সময় মেলায় প্রচণ্ড ভিড় থাকে। শিশুপ্রহরে একটু হলেও শান্তিমতো ঘোরা যায়। বিজ্ঞান সম্পর্কিত বই কেনার কথা জানায় সে।  

ব্যাংক কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা তার ছয় বছরের শিশু রাইসা জান্নাতকে নিয়ে এসেছেন মেলায়। রাইসা শিশুচত্বরের মঞ্চে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে যখন খেলছিল তখন তার মা নাসরিন বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাভাষাই আমাদের প্রাণ। যদিও মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াচ্ছি। তবে পারিবারিকভাবে আমরা বাংলাভাষার চর্চা করি।
 
অন্যদিকে বিকেল তিনটার পর বড়দের পদচারণা শুরু হয় গ্রন্থমেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল বলেন, বইমেলায় আসা হয় বেশ কয়েকবার। উপন্যাসই বেশি পছন্দ। এছাড়া নতুন লেখকদের মানসম্পন্ন বই হলে কিনবো।  

অবসর প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী সজিব বাংলানিউজকে বলেন, সকালে শিশুতোষ বই বিক্রি হয়েছে। বিকেলে সব বয়সী মানুষের ভিড় বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।