ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

৩য় দিনে ১৩৮ বই, লোকসমাগম কম

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯
৩য় দিনে ১৩৮ বই, লোকসমাগম কম অপেক্ষাকৃত ফাঁকা বইমেলা প্রাঙ্গণ/ছবি: বাদল

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: বেশিরভাগ বইয়েই আছে উজ্জ্বলতার ছাপ। প্রচ্ছদ শিল্পীদের পরিশ্রমে বিভিন্ন গ্রন্থে পাঠকরা পাচ্ছেন নবতর পাঠের প্রেরণা। তারা প্রশংসা করছেন স্টল ও প্যাভিলিয়নের নান্দনিকতার। নতুন নতুন বইয়ের সমাহারে সেগুলো সেজেছে বাহারি সৌন্দর্যে।

রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রন্থমেলার তৃতীয় দিনে বাংলা একাডেমির হিসাব অনুযায়ী নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ১৩৮টি। আর তিন দিনে এই সংখ্যা ২২৬টি।

 

তবে তৃতীয় দিনেও মেলাকে মেলা মনে হয়নি বলে জানিয়েছেন অনেক বইপ্রেমী। এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা থেকে মেলায় আগত রিজিয়া খাতুন জানান, এবারের মেলার পরিবেশসহ বেশ কিছু জিনিস ভালো লাগছে। তবে পাঠক কিছু কম, আর মেলাকে এখনো মেলা মনে হচ্ছে না। সম্ভবত শুরুর দিকে বলেই এমনটা। তবে ভিড় কম হওয়ায় ঘুরে মজা আছে মেলায়।

প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্যের ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল বলেন, দু’দিন ছুটির পর বইপ্রেমীদের আনাগোনা কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক, তবে এতোটা কম থাকবে এটা ভাবিনি। বইপ্রেমীদের আনাগোনা কম থাকলেও বিক্রি তুলনামূলকভাবে ভালোই।

আর এ সপ্তাহের শেষেই মেলা জমে উঠবে বলেও মনে করছেন অনেক প্রকাশক। বসন্তের কোকিলের অপেক্ষায় প্রকৃতি যেমন মুখিয়ে আছে, ঠিক তেমনি বইপ্রেমীদের অনেক বেশি উপস্থিতির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন প্রকাশক ও বিক্রেতারা।

রোববার বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্যমতে, অমর একুশে গ্রন্থমেলার তৃতীয় দিনে নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ১৩৮টি। এর মধ্যে গল্প ২০, উপন্যাস ২০, প্রবন্ধ ১৫, কবিতা ২০, গবেষণা ৪, ছড়া ৮, শিশুসাহিত্য ১০, জীবনী ৬, মুক্তিযুদ্ধ ৬, বিজ্ঞান ২, ভ্রমণ ৩, ইতিহাস ৫ রাজনীতি ৩, চিকিৎসা স্বাস্থ্য ৩, রম্য/ধাঁধাঁ ১, অনুবাদ ২, সায়েন্স ফিকশন ২ ও অন্যান্য ৮টি। গতকালের উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো শোভাপ্রকাশ প্রকাশিত তারেক শামসুর রেহমানের ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি’ ও ‘দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনীতি’, আবুল আহসান চৌধুরীর ‘বিচারপতি রাধাবিনোদন পাল এক বাঙালির জাপান জয়’, পুঁথিনিলয় এনেছে জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের ‘বাঙালি জীবনের গল্প’, পূরবী বসুর ‘আলোকিত সহোদরা’ ইত্যাদি।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার তৃতীয় দিন বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ। ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের আলোচনায় অংশ নেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ এবং অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি রবিউল হুসাইন এবং আলতাফ হোসেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সৈয়দ হাসান ইমাম ও ঝর্ণা সরকার। সংগীত পরিবেশন করেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী, সাজেদ আকবর, সালমা আকবর, আবদুর রশিদ এবং নূসরাত বিনতে নূর।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।