ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে বইমেলায় মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে প্রতিবাদ

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে বইমেলায় মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে প্রতিবাদ ছবি : দীপু মালাকার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা থেকে: ধর্মীয় মৌলবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বইমেলায় আগত পাঠক-লেখক-প্রকাশকরা মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন, জানিয়েছেন প্রতিবাদ।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমির বর্ধমান ভবনের নিচে তথ্যকেন্দ্রের সামনে প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পাঠক-লেখক ও প্রকাশকদের আয়োজনে এক মানববন্ধনে সব রকম মুক্তবুদ্ধির চর্চায় আঘাতের বিচারের দাবি জানানো হয়।



২০০৪ সালের এইদিনে বইমেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদের ওপর আঘাত হানে দুর্বৃত্তরা। পরে তিনি ১১ আগস্ট জার্মানিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুনরায় আঘাত হয়েছিল সেখানেও। যার প্রতিবাদে শনিবার বইমেলায় প্রতিবাদ মানববন্ধনের আয়োজন করা হলো। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। সভাপতিত্ব করেন আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার ওসমান গনি।

শামসুজ্জামান খান বলেন, হুমায়ুন আজাদ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ ছিলেন। পাকিস্তানিদের ভিত্তি নাড়িয়ে তিনি যে বইটি লিখেছেন সেজন্য মূলত তাকে মৌলবাদী অপশক্তি আঘাত করে। এ আঘাতে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তুলতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগ্রাম করেছি। সেই সংগ্রাম আমাদের এখনও অব্যাহত। কিন্তু বারেবারে মৌলবাদী-উগ্রবাদী শক্তিরা আমাদের সেই স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আঘাত করেই আমাদের হুমায়‍ুন আজাদ, লেখক অভিজিৎ ও প্রকাশক দীপনকে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামবো, মিছিল করবো। আমি চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।

ওসমান গনি বলেন, মৌলবাদী শক্তি আমাদের মুক্তচিন্তা ও মুক্তমত প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করছে। এটি আমরা প্রতিহত করবো। ২০০৪ সালে প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ মারা যাওয়ার পর এখনও তাকে পাঠকরা গ্রহণ করছেন। তার বইয়ের প্রতি এখনও মানুষের আগ্রহ রয়েছে। মানুষ মুক্তচিন্তার দিকে ঝুঁকছে।

তিনি বলেন, শুনেছি কয়েক মাসের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় হওয়ার কথা। আমরা চাই হত্যাকারীদের যেন সঠিকভাবে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, কবি আসলাম সানি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
আইএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।