ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

নৌকায় ভোট চাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চায় বিএনপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
নৌকায় ভোট চাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চায় বিএনপি বৈঠকের পর প্রতিনিধি দলের নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন

ঢাকা: গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা যেন দেশের কোথাও নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে না পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

দলটির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সকালে বৈঠকে এ আহ্বান জানায়।  

বৈঠকের পর প্রতিনিধি দলের নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা দেশের যেখানেই নৌকায় ভোট চাইবেন, তার প্রভাব পড়বে সিটি নির্বাচনে।

কেননা দলীয় প্রতীকে সিটি নির্বাচন হচ্ছে। এজন্য তাদের প্রচারণার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার রিটার্নিং কর্মকর্তার তুলনায় সিনিয়র। তিনি তদারকি করতে পারেন, সহায়তা নয়। এজন্য এই কমিটি আইনের সাংঘর্ষিক। আমরা এটাকে বাদ দিতে বলেছি। কেননা এটা ইসির ক্ষমতাকে খর্ব করেছে।

নির্বাচনে তারা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বা ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে চান। আমরা সেটাও না করতে বলেছি। এছাড়া এসপি হারুণ-অর রশীদকে গাজীপুর থেকে প্রত্যাহারসহ বিতর্কিত কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, কেবলমাত্র খালেদা জিয়ার মুক্তি হলেই নির্বাচনে যাবো, তা না হলে নয়। এর আগে নির্বাচন কমিশনকে আস্থা অর্জন করতে হবে।

‘আমাদের অনেক দাবি বাস্তবায়নযোগ্য। দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনে যাওয়ার বাধা দূর হবে। ইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা না দিলে, আস্থা অর্জন না হলে নির্বাচনে যাবো না। শুধু খালেদা জিয়ার মুক্তি হলেই হবে না’।

প্রতিনিধি দলে বিএনপি নেতা ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।

তারা নির্বাচনের সাতদিন আগে থেকে সেনা মোতায়েনসহ ২৬ দফা লিখিত দাবি পেশ করেন সিইসির কাছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাদা পোশাকে নিয়োজিত থাকতে পারবে না, নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে, হয়রানি বন্ধ করতে হবে, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে, অভিযোগ কেন্দ্র চালু করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে, গণমাধ্যমের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ ও সংবাদ সংগ্রহের নিশ্চিত করতে হবে।  

এছাড়া দলীয় কাউকে বা রাতারাতি পর্যবেক্ষক বনে যাওয়া কাউকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া যাবে না, আনসাররা কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি-না তা নিশ্চিত হতে হবে, তাদের নিজের এলাকায় দায়িত্ব দেওয়া যাবে না, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ভোটের ফলাফল ভোটকেন্দ্রেই প্রত্যেক এজেন্টদের সরবরাহ করার দাবিও জানিয়েছে বিএনপি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।