ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

আগের ৭, এবার আরও ১০ বছর দণ্ড তারেকের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮
আগের ৭, এবার আরও ১০ বছর দণ্ড তারেকের

ঢাকা: বিদেশে অর্থ পাচারের ঘটনায় মানি লন্ডারিং মামলায় আগে থেকেই খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৭ বছরের দণ্ড বয়ে বেড়াচ্ছেন। এরমধ্যে দুর্নীতি মামলায় ফের ১০ বছরের দণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমানকে দ্বিতীয় কোনো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে।  

তারেক ছাড়াও এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আর মামলার অপর চার আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

রায়ের পর সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করবো।  

তিনি এও বলেন, খালেদার অবর্তমানে দল চালাবেন তারেক রহমান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমান যুগে যেকোনো জায়গা থেকেই যে কোনো কিছু করা যায়। তবে তারেক রহমান অসুস্থতার কারণে দেশে আসতে পারছেন না। সুস্থ হলে এবং সম্ভব হলে তিনি দেশে আসবেন।
 
তবে তারেককে দুই দফায় ১৭ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজা নিয়ে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন কিনা এ নিয়েই চলছে রাজনৈতিক অঙ্গণে আলোচনা।  

আরও পড়ুন>>
** 
ভালো আছেন খালেদা, দেওয়া হলো ভাত-মাছ-সবজি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মায়ের সহায়তায় ৬, মইনুল হোসেন রোডের ঠিকানা ব্যবহার করে অস্তিত্ববিহীন ট্রাস্ট গঠন করেন তারেক রহমান। প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করে ওই ট্রাস্টের নামে সোনালী ব্যাংকের গুলশান নিউ নর্থ সার্কেল শাখায় এসটিডি হিসাব খুলে জমা রাখেন। দীর্ঘদিনে কিছু জমি কেনা ছাড়া ট্রাস্টের নামে কোনো স্থাপনা করা হয়নি।  

তারেকের বিরুদ্ধে অভিযোগে আরও বলা হয়, ডিড অব ট্রাস্টের শর্ত ভঙ্গ করে এতিম ও দুস্থদের জন্য কোনো টাকা ব্যয় করা হয়নি। অথচ ২০০৬ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ৪ জুলাই পর্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে ৫টি চেকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা ট্রাস্টের সঙ্গে সম্পর্কহীন ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হককে দেন তারেক। যার মধ্যে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারার অপরাধ।

বৃহস্পতিবার রায়ে তারেক রহমানসহ ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।  

এর আগে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।