ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটেছে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ- ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটেছে  বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। 

তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে ঘটনা ঘটেছে তা একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে থাকবে। সরকার এতোদিন বলেছে তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে।

আসলে তারা এই রায়কে কেন্দ্র করে সরাসরি বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে।

মওদুদ বলেন, পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন- এই সংসদ অকার্যকর, দেশে নিয়ন্ত্রণহীন দুর্নীতি হচ্ছে, এটাতো তিনি নতুন কিছু বলেন নি। এতে তার সঙ্গে যা করা হয়েছে তাতে সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা, সম্মান, ইজ্জত বলতে আর কিছুই নেই। আমি বলবো প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটেছে।
 
শনিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

তিনি বলেন,  সুবিচার পাওয়ার সমস্ত পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের এ কাজের জন্য একদিন না একদিন তাদের অনুসূচনা করতে হবে। এখন বিচারপতিদের মনের অবস্থা কি হচ্ছে। তারা চিন্তা করবেন আমার অবস্থা যদি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মতো হয়, তাহলে কি তারা সুষ্ঠুভাবে বিচার করতে পারবেন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান 'তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে' আয়োজিত এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন 'অপরাজেয় বাংলাদেশ। ' 

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন-  বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

মওদুদ আহমেদ আরো বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। সেভাবেই আমি দেখেছি জিয়াউর রহমানের গুণগুলো তারেক রহমানের মধ্যে লক্ষ্যণীয়। আমরা যখন একসঙ্গে জেলখানাতে ছিলাম তখন তারেক রহমান প্রায়ই আমার সঙ্গে দেশের সমস্যা, কিভাবে মানুষের পাশে থাকা যায়, কিভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা যায় এসব নিয়ে আলোচনা করতেন। তার মধ্যে জিয়াউর রহমানের মতো উদারতা আছে, নিষ্ঠা আছে, মানুষের কথা সোনার ধৈর্য্য আছে।

অপরাজেয় বাংলাদেশ'র সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-  বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এসআইজে/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।