ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘গণতন্ত্র ফিরলে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২১ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৭
‘গণতন্ত্র ফিরলে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে’ র‌্যালির আগে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গণতন্ত্র ‘ফিরলে’ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বুধবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক র‌্যালির উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ র‌্যালির আয়োজন করে।

 
 
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের সংকট গণতন্ত্রের সংকট। গণতন্ত্রের চর্চা নেই বলেই নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন, নিপীড়িত হচ্ছেন। দেশে গণতন্ত্র ফিরলে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।  
 
আর এই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হলে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমাদের শপথ নিতে হবে, আমাদের অধিকারকে আমরা রক্ষা করবো। নারীদের প্রতি যেন কোনো অত্যাচার-নিপীড়ন না হয়, সেজন্য সবাই সোচ্চার হয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমরা এগিয়ে যাবো- বলেন ফখরুল।  
 
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেবো, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবো। নারীদের অধিকারকে আমরা নিশ্চিত করবো।  

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে নারীর বিশেষ ভূমিকা ছিলো। আজ নারীর ওপর চরম সহিংসতা চলছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে নারীদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।  
মহিলা দলের র‌্যালি।  ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রের দানবীয় চরিত্র নারীকে সবসময় দাবিয়ে রাখতে চায়। এই শেখ হাসিনার সরকারের আমলে যত বেশি নারী নিযার্তিত হয়েছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বেশি নির্যাতন কোনো দিন হয়নি।
 
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নারী জাগরণের অগ্রদূত আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমানই প্রথম নারীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন। পরবর্তীতে তার সহধর্মিনী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। নারীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেন।
 
সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যাললয়ের সামনে থেকে শুরু হয়। সেখান থেকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে ফের নয়াপল্টন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয় এ র‌্যালি।  
 
র‌্যালিতে আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জেবা খান, যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সাবেক সভাপতি নূরে আরা সাফাসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর মহিলা দলের কয়েকশ’ নেতা-কর্মী অংশ নেন।
 
র‌্যালিতে মহিলা দলের বেশিরভাগ নেতা-কর্মীর পরনে ছিলো আকাশী রঙের শাড়ি। মাথায় ছিলো নারী দিবসের স্লোগান লেখা হেডার, হাতে ব্যানার-ফেস্টুন।  
 
এদিকে বুধবার সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়। র‌্যালি শুরু হলে এর সামনে-পেছনে মহিলা ও পুরুষ পুলিশ কর্ডন করে রাখে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয় মহিলা দলের এ র‌্যালি।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭/আপডেট ১৩৩৫ ঘণ্টা
এজেড/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।