ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপি

গুপ্ত হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৬
গুপ্ত হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত ছবি: ডিএইচ বাদল- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পুলিশ সুপারের স্ত্রীসহ দেশব্যাপী গুপ্ত হত্যা গুম ও খুনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং তার দোসররা জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
 
খালেদা জিয়া বলেন, আজ এই আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যারা (জাসদ) আছে, তারা গুম-খুনের ওস্তাদ। এরাই বাংলাদেশে পেট্রলবোমা আবিষ্কার করেছিল। সুতরাং পুলিশ সুপারের স্ত্রীসহ সারাদেশে যতো গুম, খুন, গুপ্ত হত্যা হচ্ছে-সবই আওয়ামী লীগ এবং তার দোসররা করছে। এদের ধরলেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটন হবে।
 
সরকার আদালতের কথা শুনছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশে প্রতিনিয়ত ক্রস ফায়ার হচ্ছে। আদালত রায় দিয়েছেন সাদা পোশাকে গ্রেফতার করা যাবে না, কিন্তু সরকার তা শুনছে না। বিনা ওয়ারেন্টে সাদা পোশাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে তারা কাজ করে যাচ্ছে।  
 
দেশের দুই ধরনের আইন চলছে অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নাইকোর সব চুক্তিপত্র করেছিল হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। আমি এর কিছুই করিনি। অথচ তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া নাইকো দুর্নীতি মামলা খারিজ হয়ে গেলো। আর এখন আমাকে নিয়ে টানা হেঁছড়া করছে।
 
খালেদা জিয়া প্রশ্ন তোলেন, হাসিনার কাছে কি জাদুর কাঠি আছে যে, ঘষা দিলেই সে মুক্ত হয়ে যায়? আর আমার মামলা চলতেই থাকে?

তিনি বলেন, বিচারকরা যদি নিরপেক্ষ থেকে বিচার কাজ পরিচালনা করতেন, তাহলে হাসিনার শাস্তি হয়ে যেতো। আমার কিছুই হতো না। কারণ, আমি কোনো অন্যায় করিনি।
 
রিজার্ভ চুরি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় জড়িত অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, তার (জয়) ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩শ’ কোটি টাকা কোথা থেকে এলো? এসব তথ্য উদঘাটন করতে গিয়েছিল বলেই সাংবাদিক শফিক রেহমনাকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। সাহস থাকলে সাংবাদিক শফিক রেহমানের কাছ থেকে উদ্ধার করা নথি জনগণের সামনে প্রকাশ করা হোক। জনগণ দেখুক তার মধ্যে কী আছে।
 
বিচারপতি টিএইচ খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রি. জেনারেল (অব.) আ স ম হান্না শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, মীর নাসির, জয়নাল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, ন্যাশানাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামানা ফরহাদ প্রমুখ।
 
উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়াসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কয়েক শ’ খানেক নেতা-কর্মী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬/আপডেট ২০৫৬
এজেড/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।