ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপি

সুষ্ঠু নির্বাচনে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাইলেন শাহ মোয়াজ্জেম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৬
সুষ্ঠু নির্বাচনে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাইলেন শাহ মোয়াজ্জেম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের ‘স্বার্থে’ জাতিসংঘের ‘হস্তক্ষেপ’ কামনা করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, আপনাদের কাছে দেশবাসী মাফ চায়।

আপনারা সময় থাকতে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। না হলে এর পরিণাম ভয়াবহ হবে।

শনিবার (জুন ৪) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘শহীদ জিয়া: বহুদলীয় গণতন্ত্র’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।

শাহ মোয়াজ্জেম বলেন,  বিএনপি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সংগঠিত হবে। দলের সম্মেলন হয়ে গেছে। এখন সারাদেশে কমিটি দেওয়া বাকি। আমরা অপেক্ষা করছি, ভালো লোকজন কমিটিতে বসাবো। সারাদেশে কমিটি গঠন হলেই আমরা রাজপথে আন্দোলন করতে পারবো।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, পার্টি যতক্ষণ সংগঠিত না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন করা যাবে না। পার্টি সংগঠিত করতে হবে। আপনারা সবাই এগিয়ে আসেন, সামনে ইস্পাত কঠিন শপথ নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। কমিটিগুলো না হলে মাঠে নামা যাবে না। তাই খুব তাড়াতাড়ি কমিটি গঠন করা হবে।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচন করলে ৪০টি সিটও পাবেন না। আপনার দল যে করবে না, এই দেশে সে রাজাকার। জিয়া, কাদের সিদ্দিকী সব রাজাকার।

আলোচনায় বিশেষ অতিথি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে সবার মাঝেই একটা নীরব আতংক বির‍াজমান, ঘোর অমানিশার অন্ধকারে দেশ ডুবে গেছে। আর আমরাও মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। ঘরে বসে আন্দোলন হয় না। আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে। এতো অন্যায়, এতো অবিচার আর কখনোই দেশে হয়নি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই অবৈধ সরকার কখন যে তাসের ঘরের মতো পড়ে যাবে তা সরকার নিজেই জানে না।

আলোচনার অতিথি বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে এই সরকার। এই সরকারের হাতে দেশ-জাতি কোনো কিছুই নিরাপদ নয়। আমরা আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে জিয়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করবো।

আলোচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার, জিয়া পরিষদের নেতা মোস্তফা কামাল পাশা, নাজির আহমেদ নাজির, অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ প্রমুখ অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।