ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

গ্রাহকের চাপে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি ব্যাংক লেনদেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২১
গ্রাহকের চাপে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি ব্যাংক লেনদেন

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধের কারণে ব্যাংকিং সময়সীমা সীমিত করায় নির্ধারিত সময়ে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ানোর কারণে সেবা গ্রহিতাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ব্যাংকের বাইরেও।

সোমবার (৫ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান, বনানী ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্যাংকগুলোর শাখায় গিয়ে দেখা যায় গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়। ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনের কারণে ব্যাংকের বাইরেও লম্বা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছেন গ্রাহকরা।

ব্যাংকে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের সঙ্গে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করাচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মীরা।

এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংক স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মো. ইকবাল বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে লেনদেন চলছে। এতে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। ‘লকডাউনে’র সময় ব্যাংক পরিচালনা ও লেনদেনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে।

সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, তিন কাউন্টারে নগদ লেনদেনের পাশাপাশি আরও একটি কাউন্টারে চেক ক্লিয়ারিং করা হচ্ছে। ভেতরে সব গ্রাহক সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। ফলে ভেতরে দু’টি লাইনে ১০-১২ জন গ্রাহক দাঁড়াতে পারছেন। বাইরেও অপেক্ষা করছেন অনেকেই।

সিটি ব্যাংকের এ শাখায় বেলা ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখা যায়, লেনদেনের জন্য বেশ কয়েকজন গ্রাহক অপেক্ষা করছেন।

এ বিষয়ে সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার ম্যানেজার হাসান মাহমুদ বলেন, টানা চারদিন ব্যাংক বন্ধ থাকার পরে অনেকেই ব্যাংকে এসেছেন। কেউ টাকা জমা দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ উত্তোলন করতে এসেছেন। দেড়টার আগে ব্যাংকে আসা সব গ্রাহকের সেবাই নিশ্চিত করা হবে।

ইস্টার্ন ব্যাংকের গুলশান শাখার নিরাপত্তা কর্মী আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনে’র কারণে দেড়টার পরে কোনো গ্রাহককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আগে যারা এসেছেন, তাদের সবাইকে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়েছে। সময় যতই লাগুক সবাই সেবা পাবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে ভেতর থেকে একজন বের হলে বাইরে থেকে একজনকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। প্রবেশের আগে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের পাশাপাশি হাত স্যানিটাইজড করা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বাড়ায় ১ জুলাই থেকে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। বিধি-নিষেধের মধ্যে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য বাংলাদেশ একটি সার্কুলার জারি করে লেনদেন ও অন্যান্য নির্দেশনা দিয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

৩০ জুন এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলার সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠানো হয়েছে।
 
এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে।
 
অন্যান্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক দু’টি শাখা খোলা রাখা যাবে।
 
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলো যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল-প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) সীমিত সংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২১
এসই/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।