ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

এসএমই খাতে ঋণের পাশাপাশি বাড়ছে খেলাপি

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
এসএমই খাতে ঋণের পাশাপাশি বাড়ছে খেলাপি

ঢাকা: এসএমই খাতে প্রতিবছরই ব্যাংকগুলোর অর্থছাড় বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে এ খাতের খেলাপি ঋণ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসএমই খাতের অর্থছাড়ের প্রবৃদ্ধি ২০১৬ সালে ছিল ২১ শতাংশ। এ সময়ে মোট অর্থছাড় হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা।

অন্যদিকে খাতটিতে একই সময়ে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা।  

রোববার (০৫ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে ‘ইমপ্যাক্ট অব এসএমই ফাইন্যান্সিং অন ব্যাংকস প্রফিটেবিলিটি: অ্যান ইনকোয়ারি অ্যাক্রোস ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।  

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদুল হক। সেমিনারে ‘ইমপ্যাক্ট অব সোস্যাল সেফটি নেট প্রোগ্রামস অন দ্যা পারফরমেন্স অব এসওসিবিএস’ শীর্ষক আরও একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। যা উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (ডিএসবিএম) এবং অধ্যাপক মো. মহীউদ্দিন ছিদ্দিকী।  

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম’র চেয়ার প্রফেসর এবং সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক (গবেষণা উন্নয়ন ও কনসালটেন্সি) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি।  

‘ইমপ্যাক্ট অব এসএমই ফাইন্যান্সিং অন ব্যাংকস প্রফিটেবিলিটি: অ্যান ইনকোয়ারি অ্যাক্রোস ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে এসএমই খাতে খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৬১ কোটি টাকায়। এর পরের বছর তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪২ কোটি টাকায়। ২০১৬ সালে আরও চার হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ যুক্ত হয়ে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা।  

এদিকে ‘ইমপ্যাক্ট অব সোস্যাল সেফটি নেট প্রোগ্রামস অন দ্যা পারফরমেন্স অব এসওসিবিএস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ব্যাংকগুলোর সমন্বয় জরুরি বলে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, এসএমই খাতে অর্থায়ন ব্যাংকের মুনাফায় তেমন প্রভাব পড়ছে না। কিন্তু আজকের এসএমই আগামী দিনে বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। এ বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে এসএমই খাতে অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে। ডেপুটি গভর্নর এ খাতে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার জন্য ফ্যাক্টরিংয়ের মতো নতুন সেবাগুলো চালুর পরামর্শ দেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুল ইসলাম, এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান চৌধুরী, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
পিআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।