ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০১৬ মোড়ক উন্মোচন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০১৬ মোড়ক উন্মোচন ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০১৬ মোড়ক উন্মাচন-ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: দেশের সামগ্রিক আর্থিক খাতের প্রকৃতি, আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া ও পূর্বাপর দিক নির্দেশনা দিতে ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০১৬ মোড়ক উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (৩১ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে মোড়ক উন্মোচনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গর্ভনর ফজলে কবির ছাড়াও ডেপুটি গর্ভনর, নির্বাহী পরিচালক ও দেশে কার্যরত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা।

পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে সামগ্রিক অর্থনীতি ও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার গুণগত মান এবং পরিমাণগত পর্যালোচনা তুলে ধরেন ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ডিপার্টমেন্টের যুগ্ম পরিচালক মো. আলাউদ্দিন।

এবারের রির্পোটে আর্থিক খাতের অগ্রগতি সর্ম্পকে বলা হয়েছে, মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলে তা হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৫শতাংশে নেমে এসেছে। রফতানি বাণিজ্য বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ, বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ব্যালেন্স অব পেমেন্ট হিসাবের স্থিতি ২৯০ বিলিয়ন টাকায় এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে সম্পদ বেড়েছে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ, ঋণ ও অগ্রিম ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ ও আমানত বেড়েছে ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। একই বছরে ব্যাংকিং খাতে মূলধন ও ঝুঁকি ভিত্তিক সম্পদের হার ছিল ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। রাখার আবশ্যকতা রয়েছে নূন্যতম ১০শতাংশ।

ব্যাসেল-৩ এর আওতায় ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফার নির্ধারিত শতকরা দশমিক ৬২৫ এর বিপরীতে দশমিক ০৮ শতাংশ সংরক্ষণ করেছে। একক এবং আরেকীভূত লেভারেজ রেশিও  দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৯ এবং ৫ দশমিক ২ শতাংশ। যা আবশ্যিক মাত্রা ৩ শতাংশের বেশি।

নিট আয় ও সঞ্চিতি বাদে মুনাফা বেড়েছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। সম্পদ ও মূলধনের বিপরীতে আয়হার বেড়েছে যথাক্রমে দশমিক ৭১শতাংশ ও ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।

২০১৬ সালে ব্যাংকিং খাতে নিট খেলাপি ঋণ প্রভিশন সমন্ধয়ের পর দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭শতাংশ। একই সময়ে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৯ দশমিক ২শতাংশ। খেলাপি ঋণ দশমিক ২শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬শতাংশে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমুহের মূলধন পর্যাপ্ততার হার ছিল ১৮ দমিক ৪শতাংশ। শ্রেণিকৃত ঋণ ও লিজের হার দাড়ায় ৭ দশমিক ৩শতাংশে। সিআরআর ও এসএলআর দাঁড়ায় যথাক্রমে ২দশমিক ৭শতাংশ এবং ১৯ শতাংশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গর্ভনর বলেন, আর্থিক থাকে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা, ঋণ আদায় বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রেণিকৃত ও খেলাপি ঋণ আদায় করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর উদ্যোগী হতে হবে।

ডেপুটি গর্ভনর এসকে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, এবিবির চেয়ারম্যান আনিস এ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার দে, প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সল আহমেদ, চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার আল্লাহ মালেক কাজেমী, ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহা. রাজি হাসান ও মনিরুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
এসই/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।