ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

রিজার্ভ চুরি

শিগগিরই ফেরত আসছে আরও ৩৪ মিলিয়ন ডলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
শিগগিরই ফেরত আসছে আরও ৩৪ মিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে আরও ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শিগগিরই ফেরত আসছে। বর্তমানে খোয়া যাওয়া এ টাকা ফেরত আনতে আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ফিলিপাইনে রয়েছে।

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে আরও ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শিগগিরই ফেরত আসছে। বর্তমানে খোয়া যাওয়া এ টাকা ফেরত আনতে আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ফিলিপাইনে রয়েছে।

 
 
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সংসদ ভবনে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে একথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী।  
 
কমিটির সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, আবদুর রউফ এবং অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার অংশগ্রহণ করেন।
 
এরআগে ১৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। ৩৪ মিলিয়ন ডলার ফেরত আনার পর বাকী ৩২ মিলিয়ন ডলারও ফেরত আনার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে।  
 
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শওকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে রিজার্ভ চুরি যাওয়া নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা ফরাসউদ্দিন সাহেবের প্রতিবেদন দেখতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর সুর চৌধুরী বলেছেন ওই প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীর কাছে রয়েছে। তিনি প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না।
 
‘কমিটি বলেছে, অর্থমন্ত্রী দায়িত্বশীল ব্যক্তি। কিন্তু সংসদ এবং সংসদীয় কমিটিকে তো এটা দেখাতে হবে। আমরা বলেছি, প্রতিবেদন জোগাড় করে পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করতে হবে’।
 
সভাপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী মোট খোয়া গেছে ৮১ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। বাকি ৬৬ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৩৪ মিলিয়ন পাইপলাইনে আছে। আর বাকি ৩২ মিলিয়ন ডলারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না’।
 
‘রিজার্ভ চুরির পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটিতে পেশ করার জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না, জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কমিটিকে জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী বলেছেন ওপরে লেভেলে কথা বলার পর প্রকাশ করা হবে’।
 
এদিকে সম-মূলধন সহায়তা ফান্ডে ইইএফ সার্কুলার জারি না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। সিএজির রিপোর্টের এ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের জবাব চায় সংসদীয় কমিটি।  
 
এছাড়া রফতানি দীর্ঘদিন প্রত্যাশিত না হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে ৩৭ কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। গৃহায়ন তহবিলে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পূণ:তফসিল না হওয়ায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার ৮০০ টাকার অডিট অনিষ্পন্ন রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অডিট না হওয়ায় কমিটির পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
 
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত  সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।