ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

লিফট দেখতে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬
লিফট দেখতে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা

ঢ‍াকা: প্রধান কার্যালয়ে ব্যবহারের জন্য সাতটি লিফট কিনবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব লিফট দেখতে উৎপাদনকারী দেশ সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চারজন কর্মকর্তা।


 
এদের মধ্যে নির্বাহী পরিচালক, একজন মহাব্যবস্থাপকও রয়েছেন। যাদের লিফট সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। এদের নিয়ে অন্য কর্মকর্তদের মধ্যে নানা রকম সমালোচনা শুরু হয়েছে। সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে সহকারী ও যুগ্ম পরিচালক মর্যাদার দুজন ইঞ্জিনিয়ারকে।
 
জানা গেছে, আগামী ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর তারা সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করবেন। আর এই ভ্রমণের সমস্ত ব্যয় বহন করবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের (২- প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন ) মহাব্যবস্থাপক (জিএম) কাজী এনায়েত হোসেন গত ২৩ আগস্ট তাদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি অনুমোদন করেছেন।
 
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৬শ’ কেজি ধারণ ক্ষমতার ৫টি ও ২ হাজার কেজি ধারণ ক্ষমতার দুটি প্যাসেঞ্জার লিফট কেনা হবে।
 
কেনার আগে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ারর্স লিমিটেডের খরচে লিফট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের শিন্ডলার এলিভেটর লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন ও লিফট উৎপাদন দেখানো হবে এসব কর্মকর্তাকে।
 
সূত্রমতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চার কর্মকর্তার মধ্যে নির্বাহী পরিচালক নির্মল চন্দ্র ভক্ত পড়ালেখা করেছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগে, মহাব্যবস্থাপক একেএম ফজলুর রহমান ম্যানেজমেন্টে, মোতালেব মাতুব্বর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং সেলিম মাহমুদ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার মেকান্যিকাল।
 
দুজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার লিফট দেখতে গেলেও একজন নির্বাহী পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপক লিফটের কি বুঝবেন। তারা তো এ বিষয়ে অভিজ্ঞ নয়। আর লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড এদের বিদেশ ভ্রমণের সমস্ত খরচ বহন করবেন কি নিজেদের টাকায়? নাকি লিফটের দামের সঙ্গে তা পুষিয়ে নেওয়া হবে চার কর্মকর্তার ভ্রমণ ব্যয়ও।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মল চন্দ্র ভক্ত বাংলানিউজকে বলেন, আমি ইচ্ছে করে যাচ্ছি না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে পাঠাচ্ছে লিফটগুলো দেখে বুঝে নিতে। প্রকৌশলী থাকতে আপনি যাচ্ছেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে একজন জিএম ছাড়াও দুজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার যাবেন।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি টাকা এদিক ওদিক ঘুরিয়ে এরকম কৌশল করে কর্মকর্তারা ব্যাংকের কোন প্রকার প্রয়োজন ছাড়াই প্রতিনিয়ত বিদেশ ভ্রমণ করছেন। আবার অনেকেই দীর্ঘ সময় পার করছেন প্রশিক্ষণের নাম করে।
 
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬
এসই/জেডএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।