ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘বিএনপি সব সময় প্রযুক্তির বিরোধিতা করে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
‘বিএনপি সব সময় প্রযুক্তির বিরোধিতা করে’ কথা বলছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি সব সময় প্রযুক্তির বিরোধিতা করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় এবং তারা অনুধাবন করতে পেরেছেন জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। এটি অনুধাব করতে পেরে সেই আশঙ্কা থেকে তারা নানা অভিযোগের বাক্স এখন থেকে খুলে বসছেন।

যাতে বলতে পারেন নির্বাচনের আগে নাচতে না জানলে উঠান যেমন বাঁকা হয়। এ ধরনের বক্তব্য তারা হাজির করতে পারেন সেজন্যই তারা এ ধরনের অভিযোগগুলো উপস্থাপন করছেন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের চলতি মেয়াদের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম কামরুণ নাহার উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনে বিএনপির নেতারা দেখা করে আসন্ন সিটি নির্বাচন নিয়ে ইভিএম পদ্ধতির বিরোধিতা করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় প্রযুক্তির বিরোধিতা করে। খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিনামূল্যে সাবমেরিন স্থাপনের। তিনি বাংলাদেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে এই কথা বলে বিনামূল্যের সাবমেরিন স্থাপন করার অনুমতি দেননি। পরবর্তিতে হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে আমাদের স্থাপন করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে তা নিয়ে সব পক্ষ সন্তুষ্ট। শুধু তাই নয় রাজ্যের ভোটগুলোও ইভিএমের মাধ্যমে হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও একই পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশে ইভিএমের বিরোধিতা কেন তারা করছেন সেটির কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। এর একটি উত্তর পাই সেটি হলো প্রযুক্তি নিয়ে অতীত থেকে বিরোধিতা করে আসছে তার ধারাবাহিকতা হলো ইভিএমে ভোটগ্রহণে বিরোধিতা করা। তারা শুধু ইভিএমএর বিরোধিতা করেন তা নয়, ব্যালটে ভোট হলেও নানান অভিযোগ উপস্থাপন করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু ড. কামাল হোসেন নয়, মির্জা ফখরুল ইসলামও গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ড. কামাল হোসেন সবকিছুতেই সংবিধান নিয়ে আসেন। জামিন না হলে সংবিধান লঙ্ঘন। আরও কিসে কিসে তিনি সংবিধান লঙ্ঘনের কথা বলতে পারেন আমি জানি না। যেকোনো বক্তব্যে তিনি সংবিধান নিয়ে আসেন। খালেদা জিয়ার জামিন হওয়া না হওয়া এটি সংবিধানিক বিষয় নয়। এটি আদালতের বিষয়। খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের নেই। তার জামিন দেওয়ার এখতিয়ার হচ্ছে আদালতের। ড. কামাল হোসেন কী আদালতকে অভিযুক্ত করছেন সেটা আমার প্রশ্ন।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার স্বাস্থ্য নিয়ে অপরাজনীতি আমরা আগেও লক্ষ্য করেছি। আমি আজও বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে দলটি যে অভিযোগগুলো করেছে, সেগুলো আসলে সে রকম নয়। খালেদা জিয়া একজন বয়স্ক মানুষ। এ কারণে তার কিছু সমস্যা আছে। এর বাইরেও তার যে আথ্রাইটিসের সমস্যা এগুলো বহু বছরের পুরনো। বয়স বাড়লে এটাও বাড়ে। সেটি তার ক্ষেত্রে হয়েছে। তবে, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের চিকিৎসকরা প্রতিদিন তার চেকআপ করছেন। তারা সর্বোচ্চ যত্ন ও মেধা দিয়ে সেবা দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ