ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পর্যটনবর্ষ: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পর্যটনবর্ষ: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ২০২১ সালকে পর্যটনবর্ষ হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী বছরকে পর্যটনবর্ষ ঘোষণা করতে কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে ‘বাংলাদেশের পর্যটন: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন প্রতিযোগিতার বাজার। যে যত বেশি সেবা দেবে, তার দিকেই ঝুঁকবে পর্যটক। সুতরাং সেবার মান নিশ্চিত করতে পারলে পর্যটন খাত বিকশিত হবে। আমরা যদি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় করতে পারি, তাহলে পর্যটন বিকশিত করতে পারবো না। এটা হতে পারে না, অবশ্যই পারবো।

মো. মাহবুব আলী বলেন, এতদিন নানা কারণে দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশ করতে পারিনি। সব স্টেকহোল্ডারদের সুপারিশ শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, ছোট কাটরা, জাতীয় সংসদ ভবনসহ সব স্থাপনা ব্র্যান্ডিং করবো।  

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের সাজেস্ট করবে পর্যটন উন্নয়নের জন্য, সেটা আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করবো। আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। তারা অনেক পানীয় জাতীয় খায়, সেই সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে, তা না হলে প্রকৃত পক্ষে পর্যটনের উন্নয়ন হবে না।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক বলেন, সত্যিকার অর্থে পর্যটন এগিয়ে নিতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এজন্য প্রত্যেক বাংলাদেশিকে দায়িত্ব নিতে হবে। কিছুদিন আগে সেন্টমার্টিনে একজন পর্যটককে মারধর করা হলো, এমন ঘটনা ঘটলে পর্যটক আসবে না। এসব ইস্যুতে গণমাধ্যমকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। উন্নত দেশে এমন ঘটলে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে না। এমনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে হবে, যেন বাংলাদেশের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব না জন্মে।  

মহিবুল হক বলেন, ধর্মের দোহাই দিয়ে বিনোদন করা যাবে না, এটা ঠিক নয়।  

সচিব বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সরাসরি সিলেট থেকে লন্ডনে ফ্লাইট চালু করা হবে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করতে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে ডিজাইনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে একটা ডিজাইন দেবে। পর্যটনকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। বিমানে যখন ওঠে, তখন পানের পিক ফেলে, মনিটর ভেঙে ফেলে, এটাই হচ্ছে আমাদের অবস্থা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, পর্যটন ও পরিবহন একে অপরের পরিপূরক। সরকার সেই বিষয়টি লক্ষ্য রেখেই আকাশ পথে সুযোগ সুবিধা তৈরি করছে। আগামী জুনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট দ্বিগুণ করা হবে। এছাড়াও পর্যটনকে উৎসাহিত করতে বিমান হলিডেজকে যুগোপযোগী করা হবে। বিমানের সেবাকে বাড়িয়ে পর্যটনকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে চাই।  

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান ও গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াজিশ আলী খান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
টিএম/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।