ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বিমানের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় নয়  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
বিমানের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় নয়   বক্তব্য রাখছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিমানের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

তিনি বলেন, যেসব ব্যক্তির কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে লোকসান হচ্ছে, আমরা তাদের কোনো ছাড় দেবো না।  
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আটাব ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশের বিমান লাভজনক করতে পারলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কেন লাভ করতে পারবে না। আমরা বিমানের সমস্যা চিহ্নিত করেছি। আস্থা ও সংকটের জায়গার দূরত্ব কমিয়ে সবার সহযোগিতায় বিমানকে লাভজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া বিমানকে লাভজনক করতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এখন থেকে বিমান হবে আকাশে শান্তির নীড়।  

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। তিন বছরের মধ্যে এ বিমানবন্দরের কাজ সম্পন্ন হবে। এ বিমানবন্দর আধুনিকায়ন হলে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে বিপ্লব হবে। দায়িত্ব নেওয়ার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশ্বমানের টয়লেট নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছি।  

দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দরে গেলে দেখা যায়, কত উৎসাহ নিয়ে নারীরাও চাকরি করতে বিদেশ যাচ্ছে। তবে যদি তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ যেতো, বেশি আয়ের পাশাপাশি দেশেরও সুনাম বাড়তো। তাই প্রযুক্তি শিক্ষা তথা প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ কর্মী পাঠাতে হবে। তখন ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।

বিমানের লোকসানের প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোথায় একটা পিছুটান যেন কাজ করে। অচলায়তনের জায়গা কোথায়, মানুষের আস্থা বিমান কেন পায় না। বিমানকে লাভজনক করতে সব উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে বর্তমানে বিমানে কোনো সিট ফাঁকা যায় না।  

তিনি বলেন, বিমান ও বিমানবন্দরে আমরা কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারি না। বর্তমানে আমরা বিমানবন্দর ও বিমানে আধুনিক সেবা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।

মাহাবুব আলী বলেন, আমাদের সম্ভাবনা অনেক, ১৬ কোটি মানুষ। এ বিশাল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরকেও এগিয়ে আসতে হবে।  

তিনি বলেন, আমাদের দেশে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সম্ভাবনা বিপুল। পৃথিবীর অনেক দেশের বিমান সংস্থা এখানে ফ্লাইট পরিচালনা করতে আগ্রহী। বিমানবন্দর আধুনিকায়ন হলে অনেক সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। ফলে দেশের আয়ও বাড়বে।  

আটাবের সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মাহবুবের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইমরান আহমেদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
টিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।